Search
Close this search box.

আখেরি মোনাজাত আজ

বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত আজ

স্টাফ রিপোর্টার – বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত আজ। শনিবার ছিল দ্বিতীয় দিন। ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয় শুক্রবার। ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব। গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর শুরু হয় তাবলিগ জামাতের সবচেয়ে বড় আসর।

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বরাবরের মতো এবারও সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়েতি বয়ানের পর বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মোনাজাতে বিশ্বের সব মানুষের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। আয়োজকরা ধারণা করছেন, প্রায় ২৫-৩০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি আখেরি মোনাজাতে অংশ নেবেন।

শনিবার দ্বিতীয়দিনে বাদ ফজর থেকে ইজতেমা মাঠে আখলাক, ইমান ও কোরআন-হাদিসের আলোকে বয়ান চলে। দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা আলেমরা বিভিন্ন বিষয়ে বয়ান করেন। প্রথম পর্বের ইজতেমায় সোনাভানের শহর টঙ্গী ইতোমধ্যেই ধর্মীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে। লাখ লাখ মুসল্লির পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে টঙ্গীর তুরাগতীর।

প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বয়ান করেছেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদুল হক। সকালের বয়ানে বলা হয় পরকালের চিরস্থায়ী সুখ শান্তির জন্য আমাদের প্রত্যেককে দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বীনের দাওয়াতের কাজে জানমাল দিয়ে মেহনত করতে হবে। ইমান আমলের মেহনত ছাড়া কেউ হাশরের ময়দানে কামিয়াব হতে পারবে না। দাওয়াতের মেহনত হলো নবুওয়াতি মেহনত। খুলুসিয়াত ও আজমতের সঙ্গে যারা মেহনত করবে তাদের যে কোনো আমলের ফজিলত বহুগুণ বেড়ে যায়।

সকাল ১০টায় বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেওলা, পরে মাদ্রাসা ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদ, আরব জামাতের জন্য বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আহমদ লাট, বোবা ও বধিরদের জন্য বয়ান করেন ভারতের মাওলানা সানোয়ার, বিদেশি জামাতের মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে ইংরেজিতে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা ইফতার জামান। বাদ জোহর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ফারুক। বাদ আসর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা যুহাইরুল হাসান এবং অনুবাদ করেন মাওলানা যোবায়ের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বয়ান। ইজতেমায় মূল বয়ান উর্দুতে হলেও অংশ নেওয়া বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসল্লিদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ