স্টাফ রিপোর্টার- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘ইয়াবা কারবারিদের তালিকার কাজ চলছে। তবে তালিকা হলেই যে কেউ অপরাধী হবে, তা কিন্তু সঠিক নয়। যাচাই-বাছাই করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রবিবার সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৬তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক অপহরণের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব খবর নিয়েছি। খুন, ডাকাতি ও অপহরণের সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। সব অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত শুক্রবার কক্সবাজার আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ওইদিন বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ৩৪ বিজিবির অধীনস্ত বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের ফ্রেন্ডশিপ লালব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করেন।
সম্প্রতি সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কক্সবাজারের একটি মাদকের তালিকার প্রকাশ নিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আগে দেখে নেই। পরীক্ষা করে দেখি। তালিকা হলে যে অপরাধী সেটা জাস্টিফাই করে গোয়েন্দাদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মাদককারবারিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৈঠকে সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায়ই গোলাগুলি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। টেকনাফে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও ঘটছে একের পর এক। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সংঘর্ষ, গোলাগুলির কারণে উখিয়া ও টেকনাফের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এ পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে বসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সামছুল আলম দুদু ও সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিবর রহমান, ওই সময় পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
রবিবার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে একাদশ জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেন। সন্ধ্যায় কমিটির সদস্যসহ কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি।