Search
Close this search box.

বিএনপির সঙ্গে আগামী জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে – ওবায়দুল কাদের

খেলা হওয়ার আগেই বিএনপি মৃত্যুযাত্রায় - ও. কাদের

স্টাফ রিপোর্টার – আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কচুপাতার পানি কিংবা শিশির বিন্দু নয়, যে টোকা দিলেই পড়ে যাবে। আওয়ামী লীগের ভীত এতটা দুর্বল নয়। এ দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক। বিএনপির সঙ্গে সময়মতো খেলা হবে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে তাদের সঙ্গে আমাদের ফাইনাল খেলা হবে। তাদেরকে এজন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি। রবিবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন। বাবার পাশে মায়ের নামের ব্যবহার শুরু করেছেন। তিনি মায়েদের সম্মান দিয়েছেন। সবসময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ অঞ্চলের জন্য ৯ লাখ শীতবস্ত্র দিয়েছেন। আজ রংপুর বিভাগের ৯টি জেলায় ২৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারেক রহমানের সৎ সাহস নেই দেশে এসে রাজনীতি করার। তিনি বিদেশে বসে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। তারা ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন ঘটানোর হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু পারেনি। জনগণ তাদের সঙ্গে নেই, আছে শুধু তাদের নেতাকর্মী।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে রাজনীতি করে কিন্তু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় না তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে পারেন না, শেখ হাসিনার কর্মী হতে পারেন না। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের মানুষের পাশে থাকতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগে উত্তরের জেলাগুলো মঙ্গাকবলিত ছিল। মানুষের অভাব ও দুর্দশা ছিল নিত্যসঙ্গী। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পলিসিতে উত্তরের সেই মঙ্গা এখন জাদুঘরে চলে গেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা উত্তরবঙ্গের মানুষ ভাগ্যবান। বগুড়া থেকে ৬ লেনের রাস্তা রংপুর হয়ে বুড়িমারী যাবে। আরেকটি যাবে পঞ্চগড়। গোটা উত্তরাঞ্চল ৬ লেনের এক্সপ্রেস ওয়ের আওতায় আসবে।

তিনি আরও বলেন, আমি ছুটাছুটি করা সড়কের মানুষ। সড়কেই থাকতে চাই। সড়ক দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগ দেখি। আর আওয়ামী লীগ দেখতে গিয়ে সড়ক দেখি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা নারীদের অভিভাবক পরিচয়ের স্বীকৃতি দিয়েছেন। আগে সন্তানের অভিভাবক পরিচয়ে শুধু বাবার নাম ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা বাবার নামের সঙ্গে মা’র নামও যুক্ত করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ