স্টাফ রিপোর্টার – আমাদের অর্থনীতির আকার বিশ্বের ৩৫তম। বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সফলতায় বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের সফলতা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমন কথা বলেছেন। মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে বর্ষীয়ান রাজনীতিক মোনায়েম সরকার সম্পাদিত আবদুল গাফফার চৌধুরী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির আকারে আমরা মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরকে পেছনে ফেলে দিয়েছি। আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন তা-ই বলছে। দক্ষিণ এশিয়া থেকে পৃথিবীর প্রথম ৫০টি অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারত রয়েছে।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ২০১৫ সালে আমরা ছিলাম ৬০তম অর্থনৈতিক দেশ। এখন ৩৫তম। এই বিশ্বমন্দার মধ্যেও। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিএনপির হাঁকডাকা যে অন্তঃসারশূন্য সেটি আইএমএফ, বিশ্বসংস্থার প্রতিবেদন বলে দিচ্ছে। এ জন্য তাদের (বিএনপি) মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি, দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতেই বিএনপি সভা-সমাবেশ করছে। অতীতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের পথ থেকে তারা বের হয়নি। সেটির বহিঃপ্রকাশ তারা চট্টগ্রামে দেখিয়েছে। আর এদিকে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন যে, তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চায়। তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নমুনা হচ্ছে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। আর এটিকেই শান্তিপূর্ণ বলেন তারা। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টি করতেই তারা এই সমাবেশগুলো করছেন।
সবাইকে সতর্ক করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেহেতু সমাবেশের নামে তারা আবারও অগ্নিসংযোগ শুরু করেছে। পুলিশের ওপর হামলা করছে। জনজীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। কাজেই ভবিষ্যতে তাদের আন্দোলন নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমি সেটিই মনে করি। তারা সমাবেশের কথা বলে কী করে তা নিয়ে আমাদের আবার ভাবতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি রাজনীতি গত কয়েকদিন ধরে আপনারা দেখতে পারছেন। রাতের অন্ধকারে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ছুটে যাওয়া আর পদলেহন করার নীতি গ্রহণ করেছে তারা। কিন্তু পদলেহন করে কোনো লাভ হয়নি। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নিরাপত্তার বাহিনীর কর্মকর্তারা এরইমধ্যে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। সম্প্রতি মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কাজকর্মে গুণগত উন্নতি হয়েছে।