Search
Close this search box.

৫ উপনির্বাচনে থাকছে না সিসিটিভি – রাশেদা

স্টাফ রিপোর্টার- বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া পাঁচটি আসনের উপনির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। আজ মঙ্গলবার বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ উপনির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, উপনির্বাচনে বাজেট কম থাকায় এই পাঁচটি আসনের কোনোটাতেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য সব কিছু করবে নির্বাচন কমিশন বলেও জানান তিনি।

কিছুদিন আগে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এসব আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসনগুলো হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৭।

এর আগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প পাশ হওয়ার ক্ষেত্রে খুব একটা এগোচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। তিনি জানান, এ প্রকল্প পাশ না হলে ১৫০ আসনে ভোটগ্রহণ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে ইসির হাতে যে সংখ্যক ইভিএম রয়েছে সেগুলো ব্যবহারের পর বাকিগুলোতে কাগজের ব্যালটে ভোটের প্রস্তুতি নিতে হবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে জাতীয় পরিচয়পত্র ইসির হাতে থাকবে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবে তা নিয়ে মিশ্র মতামত দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদেরা।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের লক্ষ্যে ৮৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার নতুন একটি প্রকল্পের প্রস্তাব সরকারকে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ওই প্রকল্প এখনো পাশ হয়নি।

ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রকল্প পাশের বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের (মন্ত্রণালয়/সরকার) সঙ্গে কথা হয়নি। এটার রীতিও নেই। ইসি সচিবালয় হয়তো কথা বলবে। আমাদের সক্ষমতা যা আছে, তাই দিয়ে ভোট করব। আমাদের সক্ষমতা তো জানামতে ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার মতো আছে। এখন কত মেশিন সচল আছে জানি না। এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়া হলে ইভিএমে ভোটগ্রহণে সমস্যা হবে কি না সে বিষয়ে চারজন কারিগরি বিশেষজ্ঞের মতামত নেয় কমিশন। তারা হলেন শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, অধ্যাপক হায়দার আলী, ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

ওই বৈঠকের বিষয়ে বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে কেউ কেউ ইসির অধীনেই এনআইডি থাকার পক্ষে। কেউ কেউ থাকার পক্ষে না। আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো জানার জন্য তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। এখন আমরা নিজেরা বসব, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ