স্টাফ রিপোর্টার – বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত আগামীকাল। টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব চলছে। লাখো মুসল্লির ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি, জিকির ও তাবলীগের দেশি-বিদেশি বয়োজ্যেষ্ঠদের বয়ানের মধ্য দিয়ে শনিবার ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। তাবলীগের লাখো লাখো মুসল্লির সঙ্গে অর্ধ-শতাধিক দেশের পাঁচ হাজারের বেশি মুসল্লি রয়েছেন ইজতেমা ময়দানে।
শনিবার ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন দিল্লির নিজামুদ্দিনের মাওলানা ইয়াকুব আলী। আসরের নামাজের পর যৌতুকবিহীন ও নগদ দেনমোহর পরিশোধপূর্বক গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমার মূল বয়ান মঞ্চে। বিয়ে পড়াবেন মাওলানা সাদ এর ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ।
আখেরি মোনাজাতের কারণে রবিবার ভোর থেকে আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস ও কামারপাড়া সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। শনিবার বেলা পৌনে ১১টায় ইজতেমা মাঠের পুলিশ কন্ট্রোল কেন্দ্রে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের (জুবায়েরপন্থি) বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয়।
চার দিন বিরতি দিয়ে শুক্রবার দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (মাওলানা সাদপন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিচ্ছেন। আজ আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার পরিসমাপ্তি ঘটবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম বলেছেন, আল্লাহর ধ্যানে যারা আরাধনা করছে তাদেরকে নিরাপত্তা বিধান করছি। এটা আমাদের ঈমানি এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব। আগামীকাল রোববার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত হবে। এখনো পর্যন্ত যেটা জানি সকাল ১০টার দিকে আখেরি মোনাজাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম পর্বের মোনাজাতের দিন যেটা করেছি অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্বেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টঙ্গী থেকে ভোগড়া পর্যন্ত এবং কামারপাড়া ব্রিজ থেকে মুন্নু গেট পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকবে। সেই ক্ষেত্রে ডাইভারসন দিয়ে দেব। ভোগড়া থেকে তিনশ ফিটের সড়ক বাইপাস থাকবে। ঢাকা এবং ময়মনসিংহগামী যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করবে। ইজতেমায় আগত মুসল্লি এবং মোনাজাতে অংশগ্রহনেচ্ছু লোকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় সতর্ক রয়েছে।
মোনাজাতের দিন ট্রেন চলাচল বিষয়ে জানতে চাইলে জিএমপি কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার বাহাদুর বাস ও ট্রেনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে। লোকজন যেন এসব ট্রেন দিয়ে স্বাভাবিকভাবে আসা-যাওয়া করতে পারে সে ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিয়োজিত রয়েছে। এসব কাজে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। এই কাজ আমরা সমন্বিতভাবে একসাথে করছি।