স্টাফ রিপোর্টার – বিশ্ব শান্তি ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশ^ ইজতেমার সমাপ্তি হয়। লাখো মুসল্লির কণ্ঠে ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দান। শীত উপেক্ষা করে রবিবার লাখো মুসল্লি অংশ নিয়েছিলেন বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্বের আখেরি মোনাজাতে। শেষ হলো ৫৬তম ইজতেমার এবারের আসর।
আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভীর ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সাদের মেজো ছেলে মাওলানা সাঈদ কান্ধলভী ও ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভী।
দুপুর ১২টা ১৬ মিনিট থেকে ১২টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত ২৮ মিনিট আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাতে দেশ ও মানুষের কল্যাণ কামনা করে মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ভোর থেকে মোনাজাত শেষ হওয়া পর্যন্ত ইজতেমা সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস থেকে আব্দুল্লাপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশুলিয়া থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। আখেরি মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের বাড়ি ফেরার সুবিধার্থে রেলওয়ে বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতি রাখা হয়েছে টঙ্গি স্টেশনে।
প্রতি বছর টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আয়োজন করা হয়ে থাকে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমা। যেখানে দেশ-বিদেশের লাখো মুসলিম যোগ দেন। ২০১৮ সালের বিরোধের পর বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের ও দিল্লির মৌলভি সাদ কান্ধলভির দুই পক্ষ ২০১৯ ও ২০২০ সালে আলাদা ইজতেমা করে। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দুই বছর এই জমায়েত বন্ধ থাকার পর এবারও দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব ইজতেমা। টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে প্রথম পর্ব ১৩ থেকে ১৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। তাবলীগ জামাতের বাংলাদেশের শীর্ষ মুরুব্বি ও কাকরাইল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জোবায়ের আহমেদের অনুসারী মুসল্লিরা প্রথম পর্বে অংশ নেন।