Search
Close this search box.

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে- আনিসুল হক

স্টাফ রিপোর্টার-  আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন- ‘গণতান্ত্রিক দেশে যে কোনো রাজনৈতিক দল কর্মকাণ্ড চালাতে পারে। তাতে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি নাই। কারণ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।’

শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটি সংবিধান আছে। বাংলাদেশের সংবিধানে জাতীয় নির্বাচন কিভাবে হবে সেটি লিখা আছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে।

এ সময় আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়া স্টেশনে এসে পৌঁছান আইনমন্ত্রী। এসময় স্টেশনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংঠনের নেতাকর্মীসহ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আনিসুল হক আবারও বলেছেন যে তথ্য সুরক্ষার জন্য এবিষয়ে আইন প্রণীত হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে নয়। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের এই কার্য-অধিবেশন হয়।

আইনমন্ত্রী বলেছেন, “একটি আইন যে প্রক্রিয়ায় পাস হয়, সেভাবে আমরা এটি জাতীয় সংসদে নেবো। তার মানে এই নয় যে, এ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের কথা শোনা হবে না। এটা নিয়ে যখন সেমিনার হয় তখন আমি বলেছিলাম এটি কন্ট্রোল করার জন্য নয়, এটা হবে প্রটেক্ট করার জন্য। সেই নীতি অনুযায়ী ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “এই আইনে যাচাই করে যাতে মামলা নেওয়া হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা না হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এ বিষয়ে বেস্ট প্র্যাকটিসের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের সঙ্গে কথা বলে একটি কমিটি করে দিয়েছি। যদি প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আমরা সংশোধন করতে পারি।”

সরকার বড়, মাঝারি ও ছোট এই তিন ক্যাটাগরিতে, জেলাগুলোকে ভাগ করে সরকারি আইন কর্মকর্তাদের (পিপি ও জিপি) বেতন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আগে পিপি ও জিপিদের বেতন ছিল দুই হাজার ও তিন হাজার টাকা। এখন আমরা যে প্রস্তাব করতে যাচ্ছি, এতে ৬৪ জেলাকে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছি। বড় জেলা, মাঝারি জেলা ও ছোট জেলা। আমরা প্রস্তাব করেছি বড় জেলার যিনি পিপি হবেন, তার বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা। মাঝারি জেলার পিপির বেতন হবে ৪৫ হাজার টাকা, ছোট জেলার ৪০ হাজার টাকা।

তিনি জানান যে সহকারী পিপি, অতিরিক্ত পিপি ও অতিরিক্ত জিপি কয়জন থাকবেন সেটাও নির্ণয় করা হবে কয়টি কোর্ট আছে তার ওপর নির্ভর করে। সেজন্য ২৬৭ কোটি টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে চাওয়া হয়েছে; তারা বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে।

বহু আগে থেকেই রাজনৈতিক বিবেচনায় জিপি-পিপিদের নিয়োগ দেওয়া হয় বলে জানান আইনমন্ত্রী। বলেন, “আমরা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে সম্পূর্ণ পিপি সার্ভিস ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস হবে না। ৩০ শতাংশ থাকবে ফর ডেজিগনেটেড পারপাসেস। বিশেষ বিশেষ কাজে তাদের নিয়োজিত করা হবে। এই পদে নিয়োগ হবে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। আমি এটা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলছি, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ