Search
Close this search box.

শেখ হাসিনার উন্নয়নের জ্বালায় বিএনপি জ্বলছে – ও. কাদের

শেখ হাসিনার উন্নয়নের জ্বালায় বিএনপি জ্বলছে - ও. কাদের

তারেকের উদ্দেশে কাদের – সৎ সাহস থাকলে দেশে আসুন, মোকাবিলা হবে, রাজপথে খেলা হবে

স্টাফ রিপোর্টার – আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের জ্বালায় জ্বলছে বিএনপি। শনিবার দুপুর ২টায় সুনামগঞ্জ শহরের বালুর মাঠে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির রূপকার, তিনি দেশবাসীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য অমর হয়ে থাকবেন।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গণঅভ্যুত্থান কোথায় গেল? ১৪ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে, হিংসা করে লাভ নেই বিএনপির। এ সময় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ সফল হয়েছে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছে না মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কোনো বিভাগে আওয়ামী লীগের লোকেরা বিএনপির ওপর কোনো সমাবেশে হামলা চালিয়েছে? এর প্রমাণ আছে? তাহলে কেন পাল্টাপাল্টি বলবেন?

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গণঅভ্যত্থান গোলাপগঞ্জের গরুর হাটে গিয়ে গুরুতর আহত। আহত হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পদযাত্রা। এখন খোঁড়াতে খোঁড়াতে পদযাত্রা করছে, ছুটতে আর পারছে না। জেলায়-বিভাগে সমাবেশ-বিক্ষোভ, এখন আবার গ্রামে ইউনিয়নে ইউনিয়নে। কালকে পত্রিকার বন্ধুদের বলবো, মিডিয়াকে বলবো, কয়টা ইউনিয়নে বিএনপির পদযাত্রা হচ্ছে? আগে খবর নিয়ে দেখুন, সত্যটা তুলে ধরুন। আমাদের কিন্তু আজ সারা বাংলাদেশে শান্তি সমাবেশ হচ্ছে। সব ইউনিয়নে। খবর পেয়েছি, শান্তি সমাবেশ সফল হয়েছে।

তিনি বলেন, পাল্টাপাল্টি করি না। পাল্টাপাল্টি করলে যখন আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন, রাস্তায় দাঁড়াতে দেননি। আমরা সভা করলে পাল্টা সমাবেশ, ১৪৪ ধারা দিয়ে পুলিশ সমাবেশ বন্ধ করতো। আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করতে দেননি। আমাদের পার্টি অফিসে সামনে শান্তি সমাবেশ করছিলাম, আমাদের নেত্রীকে টার্গেট করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বিএনপি। আমরা করছি আমাদের সমাবেশ। আমরা একই রকম করছি না। নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিনই আমাদের সমাবেশ হবে। আমরা ডাকি সমাবেশ, হয়ে যায় মহাসমাবেশ। বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ, হয়ে যায় কোনো রকম একটা সমাবেশ। কাদের বলেন, সমাবেশ হয় আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ, বিএনপির মহাসমাবেশ সমাবেশ হতেও কষ্ট।

‘ওবায়দুল কাদের ওয়ান-ইলেভেনে পালায়নি, জেলে গেছে’ উল্লেখ করে বিএনপির উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, সাহস আছে আপনাদের? সাহস ছিল আপনাদের নেতার? পালিয়ে গেল কেন? ওখানে বসে বসে ফেসবুক লাইভে হুঙ্কার ছোড়ে। সৎ সাহস থাকলে আসুন, মোকাবিলা হবে। রাজপথে খেলা হবে, আসুন।

আট বছর পর আ.লীগের সম্মেলন হয়েছে সুনামগঞ্জে। এ সম্মেলন কেন্দ্র করে শহরের সাজসাজ রব পড়েছে। এ নিয়ে জেলায় উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা। তার কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানাতে তোরণ নির্মাণ করেছেন; ব্যস্ত সময় পার করেছে সাজসজ্জায়।

বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে জেলায় নেতৃত্বপ্রত্যাশীদের পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানানোর বিলবোর্ড পোস্টারে ছেয়ে যায় সুনামগঞ্জ শহর। সুনামগঞ্জ শহরের প্রবেশমুখ ওয়েজখালী থেকে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পর্যন্ত কোথাও কোনো ফাঁকা জায়গা নেই। দুপাশে কেবল ব্যানার ফেস্টুন, বিলবোর্ড। কেউ দেয়ালে দেয়ালে পোস্টারও সাঁটিয়েছেন।

সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক হতে আগ্রহীরা ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পক্ষেও এই উপলক্ষে প্রচার চালানো হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধক কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য ড. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, জেলা সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, ড. জয়া সেন গুপ্তা এমপি, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি ও শামীমা আক্তার খানম থাকেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ