স্টাফ রিপোর্টার – স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ১৭ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার ১৮তম ব্যক্তি হিসেবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। এরপরই নতুন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এই পদে আসীন হবেন। বঙ্গবন্ধু থেকে সাহাবুদ্দিন পর্যন্ত ২২তম রাষ্ট্রপতি দেখেছে বাংলাদেশ। সাহাবুদ্দিনের আগে রাষ্ট্রপতি ছিলেন কারা, আসুন একটু জেনে নেয়া যাক।
বঙ্গবন্ধু : স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তিনি। আর পদ পরিত্যাগ করেন ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন মোট ২৭০ দিন। তার দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সংক্ষিপ্তাকারে শেখ মুজিব বা বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারত বিভাজন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব দেন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন; আর একই বছর ১৫ আগস্ট সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন। ২০২ দিন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন। ওই সময় তার দলের নাম ছিল বাকশাল।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম : সৈয়দ নজরুল ইসলাম একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। তিনিও ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করেন; আর ১৯৭২ সালে ১২ জানুয়ারি দায়িত্ব থেকে অবসর নেন। তিনিও মোট ২৭০ দিন কর্মপরিচালনা করেন। তার দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
আবু সাঈদ চৌধুরী : নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১৯৭২ সালে ১২ জানুয়ারি; আর ১৯৭৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি সর্বমোট ১ বছর ৩৪৬ দিন দায়িত্ব পালন করেন। তার দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
মোহাম্মদ মোহাম্মদউল্লাহ : ১৯৭৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি হন তিনি। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা প্রবর্তনের আগে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একাধারে আইনজীবী ও রাজনীতিক ছিলেন। পরে তিনি সংসদ সদস্য, ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকারও নির্বাচিত হন। তার দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
খন্দকার মোশতাক আহমেদ : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট অঘোষিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই বছর ৬ নভেম্বর তাকে পদচ্যুত করা হয়। মাত্র ৮৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। তার দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম : তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ এবং প্রথম প্রধান বিচারপতি। তিনি বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
জিয়াউর রহমান : তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। চার বছর বাংলাদেশ শাসন করার পর ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে নির্মমভাবে নিহত হন।
আব্দুস সাত্তার : বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি ছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি প্রথমে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ সময় তার বয়স ছিল ৭৬ বছর। পরে তিনি ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার শাসনকালে সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ১৯৮২ সালে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তার জায়গায় সামরিক আইন জারির মাধ্যমে প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের হাতে চলে যায়।
আ ফ ম আহসানউদ্দীন চৌধুরী : তার প্রকৃত নাম আবুল ফজল মোহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরী বাংলাদেশের ১১তম রাষ্ট্রপতি। হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ১৯৭৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা করেন। মাত্র কয়েকদিন পরে তথা ২৭ মার্চ জেনারেল এরশাদ আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি পদে অভিষিক্ত করেন। ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর এরশাদের চাপে পদত্যাগ করেন এবং রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন সামরিক শাসক এরশাদ।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ : বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান ও রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার দেশ পরিচালনাকে অনেকেই সামরিক একনায়তন্ত্রের সাথে তুলনা করেন। তিনি জাতীয় পার্টি নামক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে বেশ কিছু উপদলে বিভক্ত হয়। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসন হতে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৮৩ সালে নির্বাচিত সরকারের অধীনে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনকালে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে দেশ শাসন করেন। দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের কথা বলে তিনি ১৯৮৬ সালে সংসদীয় সাধারণ নির্বাচন দেন। এ নির্বাচনে তিনি স্বপ্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসাবে অংশ নেন এবং পরে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে গণবিক্ষোভের চাপে এবং সেনাবাহিনীর সমর্থনের অভাবে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ : বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রধান বিচারপতি এবং দুবার দায়িত্ব পালনকারী রাষ্ট্রপতি। তিনি প্রথমে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর হতে ১৯৯১ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতি হিসাবে এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকাকালীন ১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে পাঁচ বছরের মেয়াদে নিরপেক্ষ ভূমিকার জন্য প্রশংসিত ছিলেন।
আবদুর রহমান বিশ্বাস : তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন। তার আনুগত্য ছিল পাকিস্তান সরকারের প্রতি। বাংলাদেশে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা চালু হবার পর ১৯৯১-এর ৮ অক্টোবর দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ৮ অক্টোবর তার মেয়াদ শেষ হয়।
শাহাবুদ্দিন আহমেদ : বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রধান বিচারপতি এবং দুবার দায়িত্ব পালনকারী রাষ্ট্রপতি। তিনি প্রথমে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর হতে ১৯৯১ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকা-কালীন ১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে পাঁচ বছরের মেয়াদে নিরপেক্ষ ভূমিকার জন্য প্রশংসিত ছিলেন।
অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বা বি.চৌধুরী : তিনি একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় আসার পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। এর কিছুদিন পর ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন স্বনামধন্য একজন চিকিৎসক। এছাড়া তিনি একজন লেখক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, উপস্থাপক এবং সুবক্তা। ২০০২ সালে সৃষ্ট এক বিতর্কিত ঘটনার জের ধরে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ও পরবর্তীকালে আরেকটি রাজনৈতিক দল বিকল্প ধারা বাংলাদেশ গঠন করেন।
জমির উদ্দিন সরকার : বাংলাদেশের একজন প্রথম সারির প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা। তিনি দুই দফা বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অধিকন্তু তিনি দুবার বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পেশায় আইনজীবী। আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। মাওলানা ভাসানীর সহচর। ১৯৭৫ পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশী জাতীয়বাদী রাজনৈতিক ধারার প্রবর্তন করেন।
অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ : তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি। তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব¡ পালন করেছেন। ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত হবার জন্য শপথ গ্রহণ করেন। পরে জরুরি আইন জারি করে ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি এ পদ ছেড়ে দেন। এ পদে তার স্থলাভিষিক্ত হন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদ। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের কার্যকাল সমাপ্ত হয়।
জিল্লুর রহমান : তিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি এম এম রহুল আমিন তাকে বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গভবনে শপথ বাক্য পাঠ করান।
মো. আবদুল হামিদ : তিনি হলেন একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি (ব্যক্তি হিসেবে ১৭তম)। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি ২১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সালে। তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে ১৪ জুলাই, ১৯৯৬ সাল থেকে ১০ জুলাই, ২০০১ সাল পর্যন্ত এবং ১২ জুলাই, ২০০১ সাল থেকে ৮ অক্টোবর, ২০০১ সাল পর্যন্ত স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। নবম জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসাবে ২৫ জানুয়ারি, ২০০৯ সাল থেকে ২৪ এপ্রিল, ২০১৩ সাল পর্যন্তও দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের অসুস্থতাজনিত কারণে তার মৃত্যুর ৬ দিন আগে ১৪ মার্চ, ২০১৩ তারিখে তিনি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে আসীন ছিলেন। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় তাকে ২০১৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। সূত্র : উইকিপিডিয়া।