Search
Close this search box.

কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সামনেও যত উজান হোক, নৌকা এগিয়ে যাবে - প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার – রাজধানীর ‘ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ, উন্নয়ন ও কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পটি আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে প্রস্তুত রয়েছে কালশী ফ্লাইওভার। সশরীরে উপস্থিত হয়ে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই এটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।

প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ১২ কোটি ১১ লাখ টাকা।

প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৩৩৫ কিলোমিটার, যা শুরু হয়েছে বাউনিয়াবাঁধ এলাকায়। কালশী মোড়ে এসে উড়ালসড়কের একটি অংশ বাঁ দিকে মোড় নিয়ে পল্লবীর দিকে গেছে। অন্য অংশটি চলে গেছে মিরপুর ডিওএইচএসের দিকে। মূল উড়ালসড়ক চার লেনের।

ওঠানামার র‌্যাম্প রয়েছে পাঁচটি। এর নিচে প্রশস্ত করা রাস্তার দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার, যা মাটিকাটা এলাকার ইসিবি চত্বর থেকে শুরু হয়ে কালশী মোড় হয়ে মিরপুর ডিওএইচএসে চলে গেছে। সড়কের মোট প্রশস্ততা ১২২ ফুট। এর মধ্যে যানবাহন চলাচলের মূল রাস্তাটিই ৩৬ ফুটের (উভয় পাশে)।

২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ১২ কোটি ১১ লাখ টাকা। ফ্লাইওভারটি চালু হলে মিরপুরের সঙ্গে বনানী, উত্তরা এবং রাজধানীর পূর্বাংশের যোগাযোগ আরও সহজ হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড। কালশী ফ্লাইওভার প্রকল্পের আওতায় দুটি ফুটওভার ব্রিজ, একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ, দুটি পুলিশ বক্স, বাস বে এবং যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে।

সড়ক প্রশস্ত হওয়ায় জনদূর্ভোগ সৃষ্টিকারী যানজট হচ্ছে না। এতে একদিকে যেমন স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে, অন্যদিকে মিরপুর থেকে বিমানবন্দর, উত্তরা, গুলশান, বনানী ও রামপুরা যাতায়াতে সময় বাঁচছে।

বর্তমানে সড়ক বিভাজকে ঘাস ও ফুলের গাছ লাগানো হচ্ছে, পাশাপাশি রাস্তা পরিষ্কার, রং করা ও রোড মার্কিংয়ের কাজ চলছে। মাটিকাটা এলাকার ইসিবি চত্বর ও বাউনিয়াবাঁধ অংশে দুটি পদচারী-সেতু বানানো হচ্ছে।

অন্যদিকে উড়ালসড়কে ওঠানামার মুখে প্রতিবন্ধক দেওয়া আছে। তবে উড়ালপথ ফাঁকা থাকায় প্রতিবন্ধক পেরিয়ে অনেকে হেঁটে ওপরে যাচ্ছেন। বন্ধু ও স্বজনদের নিয়ে ঘোরাফেরা করে ছবিও তুলছেন। তবে কালশী মোড় থেকে পল্লবীর দিকে নেমে যাওয়া উড়ালসড়ক অংশে এরই মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের পোস্টার লাগিয়ে নোংরা করা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটির কর্মকর্তারা বলছেন, ওই এলাকায় মিরপুর সেনানিবাস, চিড়িয়াখানা, সেনাবাহিনীর আবাসন, অনেক শিক্ষা ও চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান, জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে। মিরপুরের যাতায়াত সহজ করতে আগেই নতুন সড়ক ও সেনানিবাস এলাকায় উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল।

এতে মিরপুরে যাতায়াতে সড়কটির ব্যবহার অনেক বেড়ে যায়। তবে কালশী মোড়ে সরু থাকায় সেখানে প্রায় যানজট হতো। এখন ওই পথ দৈনিক এক লাখ যানবাহনের চাপ সামলাতে সক্ষম হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি ৬১২ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশি মরে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।

সেখানে দুই ক্যালেন্ডার মেয়াদে অর্থাৎ ২০১৯ সালের জুনে প্রকল্পটির কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। পরে পরামর্শকদের ড্রয়িং ও ডিজাইন অনুযায়ী নতুন করে অঙ্গ সংযোজন করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ