Search
Close this search box.

বিএনপি গণতন্ত্রকে হত্যার অপচেষ্টায় লিপ্ত – তথ্যমন্ত্রী

বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাঠি মেরেছে - তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার – তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্তব্য করেছেন, সরকারের পতন ঘটাতে চেয়ে জনগণের কাছেই বিএনপির পতন হয়ে গেছে। দলটি এখন গণতন্ত্রকে হত্যার অপচেষ্টায় লিপ্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোনোদিন আসবে না। বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধু পাকিস্তানে আছে। এটার অনুকরণ এ দেশে চলবে না।
এ সময় ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘অনেক দল আছে, তারা শিশু-কিশোরদের নিয়ে রাজনীতি করতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ শিশু-কিশোরদের নিয়ে রাজনীতি করতে চায় না। মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ হবে উন্নত। মানবিকতার দিক থেকে পৃথিবীকেও হার মানাবে। শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। পরীক্ষায় ফেল করলেও দমে যাওয়া যাবে না। প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে নিজের, পরিবারের, সমাজের এবং রাষ্ট্রের জন্য।

এরআগে তথ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিএনপি বিষধর সাপ, সুযোগ পেলেই ছোবল দেবে। দলটির নেতারা ভালো করেই জানেন তাঁরা ভবিষ্যতেও জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারবেন না, তাই নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে যাঁরা পরিত্যক্ত, সেই রাজনৈতিক টোকাইদের নিয়ে বিএনপি ৩৪–দলীয় জোট গঠন করেছে। সেই জোট নিয়ে দিনের বেলা পদযাত্রা, পদভ্রমণ আর রাতে বিদেশি কূটনীতিকদের পদলেহন করছে। তারা (বিএনপি) ডান-বাম নিয়ে বহুবার জোট গঠন করেছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কাছে প্রতিবারই পরাজিত হয়েছে।

বিএনপির অপচেষ্টা রুখে দিতে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশেও হামলা করছে। বিএনপিকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের একটি নীতি আছে, কেউ খোঁচা দিলে নেতা–কর্মীরা জেগে ওঠে। তাই আমাদের খোঁচা দেবেন না। তাহলে খবর আছে।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মনে করেছিল, তাদের সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে সরকার পড়ে যাবে। তাদের বলতে চাই, তাদের পদত্যাগে আওয়ামী লীগের কাতুকুতু লেগেছে, তা ছাড়া কিছুই হয়নি। বরং উপনির্বাচন করে সবাই শপথও নিয়েছে। বিএনপির পদত্যাগ করা সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার পুনরায় নির্বাচন করে এখন সংসদ সদস্য। তাই বিএনপিকে বলব, আগামীতে যদি নির্বাচন বর্জন করার পথ নেন, তাহলে শত শত উকিল আবদুস সাত্তার রেডি হয়ে আছে নির্বাচনের জন্য। প্রস্তুত আছে নাজমুল হুদার দলও। তাই সাবধান হয়ে যান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ