Search
Close this search box.

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল, পলাশী-শহীদ মিনার লোকারণ্য

স্টাফ রিপোর্টার- ভাষাশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে হাতে ফুল, কালো ব্যাজ ধারণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে আপামর জনতা। একুশের প্রথম প্রহর থেকে এ শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। সকাল ৯টার দিকে হাজারো মানুষকে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনার অভিমুখে যেতে দেখা গেছে। পলাশী মোড় থেকে দীঘ সারি। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পলাশী মোড় থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। হাতে ফুল নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে ধীরগতিতে এগিয়ে চলেছেন। খালি পায়ে একে একে তারা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রাঙ্গণে বেজে চলেছে একুশের গান। শাহবাগ দিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় যাওয়া যাচ্ছে না। প্রবেশ করতে হচ্ছে পলাশী মোড় হয়ে।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা শহীদ মিনারের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তাদের অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।

একই সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগ। এ সময় সব ওয়ার্ড ও থানা কমিটি পৃথক ব্যানারে শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেয়। তাদের নেতৃত্ব দেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছেন মতিঝিল আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ। সঙ্গে তার অন্যান্য সহপাঠীরাও রয়েছেন। হাসান মাহমুদ জানান, বছর চারেক আগে তার বাবার সঙ্গে একবার শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শহীদ মিনারে এসেছিলেন। এবার সহপাঠীদের নিয়ে শহীদ মিনারে এসেছেন তিনি। বাংলা ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের শ্রদ্ধা জানানো সত্যিই অনেক সৌভাগ্যের বলে মনে করেন হাসান।

হাতে ফুল নিয়ে বাবা ইমরান জামানের সঙ্গে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেরুন নূন। রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর থেকে আসা মেহেরুন নূন বলে, পাঠ্যবইয়ে ভাষাশহীদদের নিয়ে অনেক গল্প পড়েছি। তাই একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসেছি। খুব ভালো লাগছে।

শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শিববাড়ি এলাকা হয়ে টিএসসির দিকে যাচ্ছিলেন গাজী ওমর ফারুক ও তার দুই ছেলে-মেয়ে। ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, বাংলা ভাষা ও ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিশুদের নিয়ে এসেছি। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ফুল দিতে সক্ষম হয়েছি। শহীদ বেদীতে ফুল দিতে পেরে শিশুরা অনেক খুশি। তবে শ্রদ্ধা নিবেদনে শৃঙ্খলার অনেক ঘাটতি রয়েছে।

এদিকে, শৃঙ্খলার সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে কিছুক্ষণ পরপর মঞ্চ থেকে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শহীদ মিনারের পবিত্রতা যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য কাজ করছেন স্কাউট সদস্যরা।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুরো এলাকায়। শহীদ মিনারে প্রবেশের আগে চারটি নিরাপত্তা তল্লাশি বসানো হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তায় রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ