স্টাফ রিপোর্টার – তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ মন্তব্য করেছেন, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম এখনও কম। বাংলাদেশে বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম ৭ টাকা ৩২ পয়সা। ভারতের দিল্লিতে বাংলাদেশি টাকায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১১ টাকা ১৫ পয়সা, মহারাষ্ট্রে ১১ টাকা ৩৩ পয়সা এবং পাঞ্জাবে ৮ টাকা ৬৩ পয়সা। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ টাকা ৩১ পয়সা, জার্মানিতে ৪১ টাকা ৯২ পয়সা, বেলজিয়ামে ৪৬ টাকা ৪৬ পয়সা, জাপানে ২৫ টাকা ৪৪ পয়সা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি জাপানসহ অন্য দেশের কথা বাদ দিলাম। ভারতের সঙ্গে তো আমরা তুলনা করতেই পারি। সেই তুলনায় ইউনিট প্রাইস এখনও কম। অথচ এ তথ্যগুলো বিরোধী দল মানুষের সামনে আড়াল করে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায়।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, যুক্তরাজ্যে বিদ্যুতের মূল্যস্ফীতি অনেক আগেই ১০০ শতাং ছাড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো কোনো দেশে ৫০ শতাংশ, কোথাও ৬০ শতাংশ। আবার কোনো দেশে ২০ শতাংশ। সেসব দেশে এমন মূল্যস্ফীতি অনেক আগেই ছাড়িয়েছে। সেই তুলনায় আমাদের দেশে বিদ্যুতের মূল্যস্ফীতি অনেক কম।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি কম। আশপাশের দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি কম। বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা পৃথিবীর মানচিত্র আড়াল করে, শুধু বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ে কথা বলেন। আমি আশা করবো, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তারা আর এ ধরনের বক্তব্য দেবেন না।
বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিতে বিএনপি বারবার চ্যাম্পিয়ন হলেও, তারা সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সমালোচনা করছে। যাদের সারা গায়ে দুর্নীতির গন্ধ, তারা যখন দুর্নীতির কথা বলে; তখন তাদের দুর্নীতির গন্ধ ছড়িয়ে যায়।
বিদ্যুতের দাম বাড়লে স্বল্প আয়ের মানুষের কিছুটা কষ্ট হয় জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, পুরো বিশ্বে যেখানে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী সেখানেও সরকার সর্বোচ্চ ভর্তুকি দিয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই সবকিছুর দাম নির্ধারণ করছে। তবে স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট কিছুটা বেড়েছে, তাদের আয় খুব একটা বাড়েনি।
বিশ্বের অবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলেই আবার সবকিছুর দাম কমানো হবে। আসন্ন রোজায়ও সরকার চেষ্টা করছে যাতে দ্রব্যমূল্যের দাম না বাড়ে। তাই মানুষকে আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য না কিনতেও অনুরোধ করেন হাছান মাহমুদ।
আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বাড়বে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণও বাড়বে। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।