স্টাফ রিপোর্টার – পঞ্চগড়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন মন্তব্য করেছেন, পঞ্চগড়ে তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিএনপি-জামায়াত যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তা একাত্তারের নৃশংসশতাকেও হার মানায়। বিএনপি-জামায়াত নানা নামে-বেনামে গুপ্ত হামলা করে মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনকে খাদ্য ও মানবিক সহায়তা প্রদান এবং আগুন ও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন।
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে খাবার ও বিভিন্ন সহায়তা দিয়েছেন। এ সময় তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এতো বড় হামলার আগে কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো তথ্য পেল না। বিষয়টি নিয়ে কোনো গাফিলতি আছে কিনা সেটিও খুঁজে দেখার কথা বলেছেন তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, একটি গোষ্ঠী সব সময় ধর্মকে ব্যবহার করে আসছে। তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে নানা ফৌজদারী অপরাধ ঘটাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
সুজন বলেন, হামলাকারীরা পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছে। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের।
এ সময় তিনি ঘটনা ঘটার আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন গাফিলতি ছিল কিনবা সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বলেন, এত বড় ঘটনা ঘটনার আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন কোনো তথ্য পেল না। এখানে তাদের কোনো গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে মন্ত্রী পুড়ে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত ১৭৯টি পরিবারের মধ্যে ৩০ কেজি করে চাল, এটি করে শাড়ি ও লুঙ্গি এবং কম্বল বিতরণ করেন।
এ সময় রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল আলিম মাহমুদ, পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপারিএমএম সিরাজুল হুদাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে হামলায় পুড়ে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শনে যান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
এদিকে বোদা উপজেলার বেংহারী ইউনিয়নের ফুলতলা বাজার এলাকায় হামলা, অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করতে গেলে মন্ত্রীর গাড়ির সামনে এসে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।