স্টাফ রিপোর্টার – তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোনো মানুষই আইনের উর্ধ্বে নয়, কেউ যদি আইনবিরোধী কাজ করে তবে তাকে তো আইনের আওতায় আসতেই হবে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকে বলছে বাসন্তীকে জাল পড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করার মতোই একই ধরনের ঘটনা ২৬ মার্চে যেটি প্রথম আলোর অনলাইন কিংবা ফেসবুক পেজে যেটি প্রকাশ পেয়েছে। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। এই ঘটনাকে বাসন্তীকে জাল পড়িয়ে সংবাদ পরিবেশনের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। এটি রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। এই যে এই ধরনের সংবাদ পরিবেশন সর্বমহলের মতে সেটি তো একটি অপরাধ এবং ডিজিটাল অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, অপরাধ আর সাংবাদিকতা এক জিনিস নয়। কোন সাংবাদিক যদি অপরাধ করে তবে কি তার শাস্তি হবে না? তিনি বলেন, অপরাধ আর সাংবাদিকতা এক জিনিস নয়। কোন সাংবাদিক যদি অপরাধ করে তবে তার কি শাস্তি হবে না? কেউ যদি অপসংবাদিকতা করে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে এবং একটি ছেলের হাতে দশ টাকা ধরিয়ে দিয়ে চাইল্ড এক্সপ্লোটেশন হয়েছে এখানে। ক্লিয়ারলি দেয়ার ইজ ট্রাইল এক্সক্লোটেশন, করে যদি এ ঘটনা ঘটানো হয় সেটার কি বিচার হবে না? আমরা কেউ কি বিচারের উর্ধ্বে, আইনের উর্ধ্বে?।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২৬ তারিখ অনলাইনে যে সংবাদটি পরিবেশন করা হয়েছে এটি অবশ্যই রাষ্ট্রের মূল ভিত্তিমূলে আঘাত হানা হয়েছে। স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে, জাতীয় স্মৃতিসৌধ আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, সেখানে একটা ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে, সে যেটি বলেনি সেটি প্রচার করা হয়েছে, এটি ঠিক হয়নি বলেই তো তারা সরিয়ে নিয়েছে। এখানে অবশ্যই রাষ্ট্রের মূল ভিত্তিমূলে আঘাত হানা হয়েছে।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গ্রেফতারের বিষয়টি আগে বললে ভালো হতো বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এ ব্যাপারে একমত, তাকে (শামসুজ্জামান) গ্রেফতার করার পর, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এ কথাটি বললে ভালো হতো। বাংলাদেশে মত প্রকাশের যে স্বাধীনতা, সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশে নেই বলেও দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তুলে নেওয়া এবং গ্রেফতার হওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। অপরাধ ছাড়াই কাউকে কেউ যদি নিয়ে যায় সেটা তুলে নেওয়া। আর কারও অপরাধ হয়েছে, মামলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কাউকে যদি নিয়ে যায় সেটা হচ্ছে গ্রেফতার করা। তাকে (শামসুজ্জামান) গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসব ঘটনার বিষয় ব্যবস্থা নিতে তো প্রেস কাউন্সিল আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনলাইন ভার্সন প্রেস কাউন্সিলের অধীনে আসেনি। প্রেস কাউন্সিলের তিরস্কার করা ছাড়া আর কোনো ক্ষমতা নেই। তাকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তার আগেই কিন্তু মামলা হয়েছে। মামলা হওয়ার পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোর্টেও নেওয়া হয়েছে। এখন প্রথম আলো কোর্টে সেই ব্যাখ্যা দেবে। কোর্ট সেটা বিচার করবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের আইন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ করেছে।