স্টাফ রিপোর্টার- মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, এখন বিএনপি’র একটিই অপচেষ্টা, নির্বাচন বানচাল করা। তৃতীয় কোনো শক্তি দেশটা নেক। বিএনপি হতে পারবে না। তাই শেখ হাসিনাকে হতে দেবে না। তারা ক্ষমতায় আসবে না জেনে তৃতীয় কোনো শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ষড়যন্ত্র করছে। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় তারা। ওই পথ বন্ধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সকালে নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মানুষ যদি আমাদের নৌকা মার্কায় ভোট দেয়, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী কে হবে তা বোঝা যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবে। তিনি বলেন, যারা এতিমের টাকা চুরি করছে।
যাদের কাছে এতিমের টাকা নিরাপদ নয়। যারা এতিমের টাকার লোভ সামলাতে পারে না, আত্মসাৎ করে তাদের কাছে দেশের ১৭ কোটি মানুষের সম্পদ নিরাপদ থাকতে পারে না। তারেক জিয়াকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, তারেক জিয়া এতিমের টাকা চুরি, অর্থ পাচার, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমান হত্যা মামলার আসামি।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়া-মোশতাক চক্রের অবৈধ ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বা দায়মুক্তি অধ্যাদেশ কী এবং কখন জারি হয়েছিল, তা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ক্ষমতায় বসে সামরিক আইন জারি করেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ, যার পেছনে ছিলেন সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী কর্মকর্তা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাকের হত্যার দায় থেকে মুক্তি বা অব্যাহতি প্রয়োজন হয়। নইলে এদের বাঁচার কোনো উপায় ছিল না। সেজন্য জারি করা হয় পৃথিবীর ইতিহাসের এক নজিরবিহীন কালো আইন—ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বা দায়মুক্তি অধ্যাদেশ।
তিনি আরও বলেন, দায়মুক্তি অধ্যাদেশে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা বা অভিযোগ দায়ের কিংবা কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের সঙ্গে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা নানা তথ্য-উপাত্তের মধ্য দিয়ে এটি আজ প্রমাণিত যে, এই অধ্যাদেশ জারির পেছনে জিয়া সরাসরি জড়িত ছিলেন। সামরিক অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল নিজেই রাষ্ট্রপতির পদে বসেন জিয়া এবং ওই অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল কুশীলব জিয়া-মোশতাক চক্রের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করার জন্য অবশ্যই কমিশন গঠন করতে হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ অধ্যাপক ওয়ালী উল্যা, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ, পৌর মেয়র কে এম ওবায়েদ উল্যা প্রমুখ।