স্টাফ রিপোর্টার – জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডাকা অধিবেশনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কোনো গবেষণামূলক কার্যক্রম চলমান নেই। তবে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আওয়ামী লীগদলীয় চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে এসব প্রশ্ন ও উত্তর উপস্থাপন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কোনো গবেষণামূলক কার্যক্রম চলমান নেই। তবে বিশ্বব্যাংকের ৩৬০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তায় ‘বাংলাদেশ রোড সেফটি প্রোগ্রাম (বিআরএসপি)’ প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। যার অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কসমূহ সড়ক নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিতে রেটিং প্রদানবিষয়ক গবেষণামূলক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের আওতায় সড়কের নিরাপত্তা ও জিওমেট্রির ভিত্তিতে বিভিন্ন জংশন উন্নয়নের সংস্থান রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে তা ২০২৭ সালের নভেম্বর নাগাদ বাস্তবায়ন হবে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন ও একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশন বেলা ১১টা ৩ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয়। এ অধিবেশন চলবে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, ঢাকা মহানগরীতে বিআরটিসিসহ বেসরকারি বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির প্রায় ৬ হাজার বাস চলাচল করে। বিআরটিসির কিছু সংখ্যক রুটে ই-টিকেটিং চালু আছে। এ ছাড়া ৯৭টি বেসরকারি পরিবহন কোম্পানির মধ্যে ৬৯টি কোম্পানির ৩ হাজার ৩০০ বাসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির তত্ত্বাবধানে ই-টিকেটিং চালু করা হয়েছে।
বিআরটিএ এ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অচিরেই অবশিষ্ট কোম্পানির বাসে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম মহানগরীতে এই সেবা প্রদান করা হবে। ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মাসেতু চালুর পরে গত মার্চ পর্যন্ত ছয়শ তিন কোটি ৭৬ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।