স্টাফ রিপোর্টার – আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি আবারও অগ্নিসন্ত্রাসের পাঁয়তারা করছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কাদের।
তিনি বলেন, দেশে বিরাজমান স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে অশুভ শক্তি কাজ করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপতৎপরতা আবারও শুরু হয়েছে। পরপর কয়েকটি জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা তো অগ্নিসন্ত্রাসের মতোই। মার্কেটে কি আগুন লেগেছে, নাকি লাগানো হয়েছে–সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী ও সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেন। গণতন্ত্র, সংবিধান ও দেশের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে শেখ হাসিনা আপসহীন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগ্নিসন্ত্রাসের কালো ছায়ার আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগ। দেশের মার্কেটগুলোতে পাহারায় থাকবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ২০০৬-এর মতো অস্বাভাবিক সরকার আনতে চাচ্ছে বিএনপি, যা কোনো অবস্থায়ই মেনে নেয়া হবে না।
শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ২০১৩, ’১৪ ও ’১৫ সালের মতো পদধ্বনি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। দেশব্যাপী বিক্ষোভ, পদযাত্রা, মানববন্ধনে জনসমর্থন আদায় করতে পারেনি বিএনপি। জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। আন্দোলনের ডাকেও ব্যর্থ হয়েছে তারা।
আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কের কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে কাদের বলেন, কারো ফরমায়েশি গণতন্ত্র বাংলাদেশে চলবে না। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি ইইউ, মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ সবাইকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন হবে সংবিধানমাফিক, পরিচালনা করবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
দেশব্যাপী অসাম্প্রদায়িক শক্তির ঐক্যের উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি চায় দেশে অস্বাভাবিক সরকার আসুক। তারা আবারও আগুন নিয়ে খেলা শুরু করল। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা শেখ হাসিনাকে হঠানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিদিনই কোথাও-না-কোথাও আগুন। এটা তদন্ত করা হচ্ছে, আগুন লেগেছে নাকি আগুন লাগানো হয়েছে। গণতন্ত্র, সংবিধান ও দেশের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে শেখ হাসিনা আপোসহীন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগ্নিসন্ত্রাসের কালো ছায়ার আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগ। দেশের মার্কেটগুলোতে পাহারায় থাকবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তিনি বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে অশুভ শক্তি কাজ করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপতৎপরতা আবারও শুরু হয়েছে। পরপর কয়েক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা তো অগ্নিসন্ত্রাসের মতোই। মার্কেটে আগুন লেগেছে নাকি লাগানো হয়েছে। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
কাদের বলেন, বিদেশিদের কাছে নালিশ করেই বিএনপি থেমে থাকেনি, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা জাতিসঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে। যে দেশে নিজেদের কোনো মানবাধিকার নেই তারা অন্যদেশকে কীভাবে পরামর্শ দেবে। তিনি বলেন, সংবিধানকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো দেশের ফরমায়েশি গ্রহণ করা হবে না। সংবিধান অনুযায়ী সবকিছু হবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তারা চায় দেশে অস্বাভাবিক সরকার আসুক। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা শেখ হাসিনাকে হঠানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। যত বাধা আসুক আমরা প্রতিহত করব।
কাদের বলেন, ইইউ, মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ সবাইকে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি জানানো হয়েছে। নির্বাচন হবে সংবিধান মাফিক, পরিচালনা করবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।