স্টাফ রিপোর্টার – স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় তার এন্ডোসকপি সম্পন্ন হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এরপর তিনি বাসায় ফিরেন।
গত ২৯ এপ্রিল শনিবার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। শনিবার থেকে পাঁচ দিন তাঁকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের যেসব পরীক্ষা করানো হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে চিকিৎসকদের বোর্ড তাঁর বাসায় ফেরার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি ঢাকার গুলশানের বাসায় ফিরেছেন।
গত বছরের জুন মাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। বাকি দুটি ব্লক তখন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। এ ছাড়া তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ওই সময় বাকি দুটি ব্লকে রিং পরানো হয়নি। এখন তাঁর হৃদ্যন্ত্রের এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়েছে।
৭৮ বছর বয়স্ক খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, যকৃৎ, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন।
দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাঁকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। এর পর থেকে তাঁর দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে। কয়েক দফায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সাজা স্থগিতের শর্ত হিসেবে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বুধবার চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, যদি তিনি স্বাভাবিক থাকেন; তা হলে বুধবার সন্ধ্যার পর মেডিকেল বোর্ড বসবে। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে খালেদা জিয়া বাসায় ফিরবেন নাকি হাসপাতালেই থাকবেন।
খালেদা জিয়া ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। একপর্যায়ে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। প্রায় দু’মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন তাকে বাসায় নেয়া হয়। এর মধ্যে করোনার টিকা নেয়ার জন্য খালেদা জিয়া দু’দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন তিনি।