স্টাফ রিপোর্টার – শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীনতার ফল ভোগ করতে পারছি। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেইজে দেয়া এক পোস্টে একথা বলেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, শেখ হাসিনা যার প্রত্যাবর্তনে তৈরি হয় নতুন ইতিহাস, পুনরুদ্ধার হয় গণতন্ত্র, গড়ে ওঠে মধ্যম আয়ের সমৃদ্ধ ডিজিটাল রাষ্ট্র। ১৯৮১ সালের ১৭ মে, মা-বাবা-ভাই হারিয়ে এক বিষাদগ্রস্ত মন, অশ্রুভেজা চোখ, নিদারুণ কষ্ট বুকে নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি দেশে ফিরেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীনতার ফল ভোগ করতে পারছি।
তিনি বলেন, হিংসার রাজনীতি দূরীভূত হয়ে আজ আমরা সচ্ছল হয়ে উঠেছি, শান্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছি একটি সুজলা-সুফলা শ্যামল বাংলাদেশে।
জয় বলেন, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, শহর-উপশহর-মফস্বলের প্রতিটি স্তরের মানুষের জীবনমান পরিবর্তনে বৈপ্লবিক কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এমনকি তথ্যপ্রযুক্তিসহ শিক্ষাখাতের যে আধুনিকায়ন করা হয়েছে, তার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নিজেদের মানবিক ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনায় স্মার্ট প্রজন্মের হাত ধরে ক্রমেই গড়ে উঠছে স্মার্ট বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বুধবার (১৭ মে)। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছিল। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলের গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে একনজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান: ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল: ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’।