স্টাফ রিপোর্টার- রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল। অফিসগামী যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩১ মে থেকে মেট্রোরেল চলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। আর জুলাই মাসে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশেও পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চালানো হবে।
মেট্রোরেলের মাঝখানের পুরো মিডিয়ামজুড়ে রকমারি বনসাই জাতীয় গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এসব গাছ দীর্ঘস্থায়ী হবে। তবে একপর্যায়ে গিয়ে আর বড় হবে না।
ডিএমটিসিএল জানায়, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের মিডিয়ামের (মাঝখানের জায়গা) পুরো জমি কাজে লাগানো হবে। স্থায়ীভাবে গাছ লাগানো হবে। গাছগুলো বেশি বড় হবে না। অনেকটা বনসাই টাইপের হবে। মেট্রোরেলের যেখানে সবসময় ছায়া থাকে, সেখানে সেই ধরনের গাছ লাগানো হবে। যেখানে বেশি রোদ পড়ে, সেখানে রোদসহিষ্ণু গাছ লাগানো হবে। এরইমধেই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মেট্রোরেলের মিডিয়ামের মাটি প্রস্তুত কাজ চলমান।
এদিকে, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল রুটে এরইমধেই গাছ লাগানো শুরু হয়েছে। ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে চলবে মেট্রোরেল কোচ। মেট্রোরেলের সড়কজুড়ে সৌন্দর্য্যবর্ধনের জন্য পাতাবাহার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ লাগানো হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মেট্রোরেলের পথজুড়ে পাতাবাহার, কাঞ্চন, করবী, গন্ধরাজ, কুর্চি, রাধাচূড়া, হৈমন্তী, টগর, সোনালু, কৃষ্ণচূঁড়া, কদম, বকুল, পলাশ গাছ লাগানো হয়েছে। এখন বিভিন্ন বনসাই প্রজাতির গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) উপ-প্রকল্প (উপসচিব) পরিচালক (ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন) শান্তি মনি চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মেট্রোরেলের মিডিয়ামজুড়ে ১২ প্রজাতির গাছ লাগানো হবে। এগুলো অনেকটাই বনসাই জাতীয় গাছ। কারণ এ গাছগুলো খুব একটা বড় হবে না। একপর্যায় গিয়ে আর বাড়বেও না। মাটি ও আবহাওয়ার কথা চিন্তা করেই এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেখানে ছায়া বেশি সেখানে ছায়াসহিষ্ণু গাছ লাগাবো। যেখানে রোদ বেশি, সেখানে রোদসহিষ্ণু গাছ লাগাবো।