স্টাফ রিপোর্টার – ২০২৩-২০২৪ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে এই সরকারের শেষ বাজেট ঘোষণা করেন তিনি। বাজেটের আকার অনেক বড়। আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত এই বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত থাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন। অর্থমন্ত্রী যে বাজেট বক্তব্য দেন তার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে – ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে।’
এবারের বাজেটের মূল দর্শন হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি মূল স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে। এগুলো হচ্ছে – স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রথম বাজেট।
এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট। আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবছরের এই বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। আর ঘাটতি (অনুদানসহ) ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি এবং (অনুদান ছাড়া) ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বেলা ৩টায় বাজেট পেশ করার আগে দিনের প্রথমার্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট যুগে নেওয়ার স্বপ্ন দেখান অর্থমন্ত্রী। যদিও সেখানে পৌঁছতে রয়েছে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা। আগামী বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এ খাতে ১০০ কোটি টাকার একটি তহবিল রাখা হয়েছে।
এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থবছরের পুরো সময় থাকবে সরকারের নানা ধরনের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং বাড়ানো হয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা। এদিকে বাজেট উত্থাপনের আগে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, গরিম মারার বাজেট হবে না। প্রস্তাবিত বাজেট হবে অন্তর্ভূক্তিমূলক। এতে কেউ ঠকবে না।