স্টাফ রিপোর্টার- ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রায় প্রতি বছরই পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। নিজেরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয় ইচ্ছামতো। ঈদুল আজহার এক মাস বাকী থাকতেই বাজারে পেঁয়াজের দামে সেঞ্চুরি করেছে। রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি প্রায় একশ টাকা।
সবশেষ বৃহত্বর স্বার্থে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের ও শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৫ জুন) থেকেই পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
রবিবার (৪ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ভূইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দেশীয় পেঁয়াজের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে এবং কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় গত ১৬ মার্চ থেকে দেশের সব স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এবার সরকার আবার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিলো।
বাজারে মাত্র দেড়মাস আগেও রমজানে এক কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। সবশেষ দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা। রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদ সামনে রেখে অসাধু বিক্রেতারা পেঁয়াজ নিয়ে সিন্ডিকেট করেন। তবে বিক্রেতাদের দাবি, মূলত ভারত থেকে আমদানি না হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, মালিবাগ বাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, খিলগাঁও বাজার এবং এসব এলাকার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ (দেশি কিং) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এছাড়া দেশি (পাবনা) বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। দেশি ও চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা প্রতি কেজি।
পেঁয়াজ কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান, দুইদিনের ব্যবধানে কীভাবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে যায়? দুইদিন আগে কিনেছিলাম, আজ আবার কিনতে আসলাম। কিন্তু বাজারে এসে দাম শুনেই হতবাক।
মগবাজারে তপু নামের এক বিক্রেতা বলেন, আমরা খুচরা বিক্রি করি, দর-দাম নিয়ে মাথাব্যথা নেই। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমরা সেভাবে বিক্রি করি। আবার পাইকারিতে দাম কমলে খুচরায়ও কমে যায়। তবে বর্তমানে যেভাবে দাম বাড়ছে, এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলেও মন্তব্য এ খুচরা বিক্রেতার।