আমাদের বিচার বিভাগের প্রতিও মার্কিন ভিসানীতি জারি করা হয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশের বিচার বিভাগের প্রতি ভিসানীতি জারি করা হয়নি। এজন্য বিচারকাজে এটা আমাদের ভাবতে হয়।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলার চার্জগঠনের বিরুদ্ধে এক আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতির অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে করা আবেদনের ওপর এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে এই আবেদনের ওপর আরও শুনানির জন্য আগামী ৯ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেন উচ্চ আদালত।
এদিন আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান।
নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৭ মে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে এই আবেদন করেন তার আইনজীবী কায়সার কামাল।
গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করেন বিচারক।
কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।