সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে ’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা কথা মনে রাখবেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের সমর্থন করেনি তাদের মনের বৈরিতা কিন্তু এখনো কেটে যাইনি। সেটা অতিক্রম করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আন্দোলন-সংগ্রাম দেখে ভয় পাবেন না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জ্বালাও-পোড়াও আমরা সহ্য করব না। মানুষের ভাগ্য নিয়ে আমরা কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
গ্রামের মানুষ ভালো আছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন ঢাকায় জিনিসপত্র নিয়ে যে হাহাকার, সেটা গ্রামে নাই। কারণ তারা নিজেরাই উৎপাদন করছে। গ্রামের মানুষ ভালোই আছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। একসময়ে আমি নিজেও পৃথিবী অনেক যেতাম এবং থাকতাম। কোথাও কোনো সেমিনারে অংশগ্রহণ করলে বাংলাদেশ শুনলে বলত বাংলাদেশ দুর্যোগের দেশ, বাংলাদেশ গরিব দেশ, বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা বিরূপ ধারণা ছিল। এটা সত্যি খুব কষ্ট দিত।’
‘আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলব। আমরা কেন মাথা নিচু করে চলব? আমার একটাই লক্ষ্য এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। আমরা হতে দেব না। দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ থেকে কমিয়ে ১৮ ভাগে নামিয়ে এনেছি। ইনশাল্লাহ আরও কমিয়ে নিয়ে আসব।-যোগ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
গৃহহীনদের ঘর দিতে সরকারের যে উদ্যোগ তাতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অনেক পরিশ্রম করেছেন বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী। তাদের ধন্যবাদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাই আমার তৃণমূলের একেবারে ইউনিয়ন পর্যায়ে পর্যন্ত যারা কাজ করেছেন। প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশ আজ ২৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রশাসনের ২৮ কর্মকর্তা ও দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক তুলে দেন শেখ হাসিনা।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রয়াসকে উৎসাহিত করতে ২০১৬ সাল থেকে জনপ্রশাসন পদক দেওয়া শুরু করে সরকার। গত বছর থেকে এই পদকের নাম বদলে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক করা হয়।