পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, টেকসই জাহাজ ভাঙা শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ আইন, ২০১৮; বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ বিধি, ২০১১ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপের ফলে এরই মধ্যে চারটি শিপইয়ার্ড গ্রিন শিপইয়ার্ডে পরিণত হয়েছে। আরও এক ডজনের বেশি শিপইয়ার্ড গ্রিন শিপইয়ার্ডে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াধীন আছে। জাহাজ ভাঙা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে সরকার। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি হংকং কনভেনশন র্যাটিফিকেশন করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (১৬ আগস্ট) জাহাজ ভাঙা শিল্পের পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের উল্লেখযোগ্য অবদান থাকলেও এর পরিবেশগত সুরক্ষা নিশ্চিতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। সবার আগে এর সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ও তাদের স্বাস্থ্যগত দিকের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবেশগত ঝুঁকির দিকগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করার মাধ্যমে জাহাজ ভাঙা শিল্প যেন বিকশিত হতে পারে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
আরও বক্তব্য রাখেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহের।
বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙার পরিবেশ ব্যবস্থাপনার বর্তমান অবস্থার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (ইসিসি) মাসুদ ইকবাল মো. শামীম। জাহাজ ভাঙার কার্যক্রমের বর্তমান অনুশীলন এবং ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী।