স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে বেতার সম্প্রচারকে আরো আধুনিক করতে বাংলাদেশ বেতারের সম্মেলন কক্ষে বেতারের ১৪টি আঞ্চলিক কেন্দ্র ও ০৭টি বিশেষায়িত ইউনিটের অনুষ্ঠান এবং বার্তা শাখার মোট ৩৬টি ফেইসবুক পেইজ, ৩৪টি ইউটিউব চ্যানেলের উদ্বোধন করা হয়েছে। ৯ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নাসরুল্লাহ মো. ইরফান। এসময় বাংলাদেশ বেতারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নাসরুল্লাহ মো. ইরফান শোকের মাস আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদাৎবরণকারী ১৭ জন সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ঐতিহাসিক ভূমিকা কথা সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন।
বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নাসরুল্লাহ মো. ইরফান বলেন, অত্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যমটি শ্রোতার এবং যুগের চাহিদামতো প্রতিদিন নানা ধরণের অনুষ্ঠান নিয়মিত প্রচার করে যাচ্ছে। নিউমিডিয়ার কল্যাণে বাংলাদেশ বেতার এখন সকলের হাতের মুঠোয়। বর্তমানে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে বেতারের অনুষ্ঠান শোনার জন্য মোবাইল অ্যাপস রয়েছে, হাতে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মতো সহজ প্রচার মাধ্যম।
বাংলাদেশ বেতারের লিয়াজোঁ ও শ্রোতা গবেষণা শাখার জুন’২০২৩-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান ও বার্তা শাখার সকল আঞ্চলিক কেন্দ্র ও ইউনিটের ৩৬টি ফেইসবুক পেইজে বর্তমানে মোট ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ২৩৪ জন ফলোয়ার এবং ৩৪টি ইউটিউবে ৬৪ হাজার ১৯০ জন সাবস্ক্রাইবারস রয়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশ বেতারের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপসে যুক্ত আছেন ৩৪ লক্ষ ২২ হাজার ৩২৯ জন শ্রোতা।
বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আরও বলেন, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে প্রচলিত মাধ্যমে বেতার সম্প্রচার হ্রাস পাচ্ছে, পাশাপাশি বেতার যন্ত্রের অপ্রতুলতার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি শ্রোতাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দিক-নির্দেশনায় নিউমিডিয়া কার্যক্রমটি শুরু করা সম্ভব হয়েছে।” তিনি বলেন, এর ফলে বেতারের জনপ্রিয়তাও আশানুরূপভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শ্রোতারা পুনরায় তাঁদের সুবিধামতো সময়ে অনুষ্ঠান শুনতে পারছেন।
নিজস্ব সম্প্রচার যন্ত্রের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বিষয়ে অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে শ্রোতারা সরকারে বিভিন্ন জনবান্ধব কার্যক্রমে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে পারছেন। এছাড়াও, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ভাষণসমূহ বাংলাদেশ বেতারের সকল কেন্দ্র ও ইউনিট থেকে একযোগে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, ফলে প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা দেশবাসীর কাছে মুহূর্তেই পৌঁছে যাচ্ছে যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অত্যন্ত কার্যকর ও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক বিশ্বাস করেন।
বেতারের মহাপরিচালকের সুযোগ্য নেতৃত্ব , নিরলস কর্মোদ্যম ও সৃজনশীল দিক-নির্দেশনায় ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে বেতার সম্প্রচারে। বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০৪১-এর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতার একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।