ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আগামী রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দ্বিপাক্ষিক সফরে ঢাকায় আসছেন মাখোঁ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফরকালে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট মাখোঁ তার সম্মানে আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন। দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর এবং একটি যৌথ প্রেস ব্রিফিং করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকবেন দেশটির মিনিস্টার ফর ইউরোপ অ্যান্ড ফরেন অ্যাফেয়ার্স ক্যাথরিন কোলোনা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের সরকার আন্তরিকভাবে আশা করে যে, ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে ইমানুয়েল মাখোঁর আমন্ত্রণে ফ্রান্স সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে গতকাল ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্স দূতাবাসের এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা আসবেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
আরো বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রæতবেগে বাড়ছে এবং প্রেসিডেন্টের সফরের মাধ্যমে সম্পর্ক বহুমুখী ও গভীর করার একটি সুযোগ তৈরি হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।
দূতাবাস বলছে, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে চমৎকার অভিন্নতা রয়েছে। বিশেষ করে প্যারিস এজেন্ডা ফর পিপলস অ্যান্ড দ্য প্ল্যানেটের ফ্রেমওয়ার্কে বাংলাদেশের সক্রিয় সমর্থন রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যেহেতু বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ তাই প্রেসিডেন্ট মাখোঁ বিশেষ করে নিয়মিত বন্যার মুখে পড়া বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে ফ্রান্সের দৃঢ়তার কথা স্মরণ করবেন। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম কিংবা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংহতিমূলক কর্মকাণ্ডেও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা একটি রাষ্ট্র।