ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের ও টহল পুলিশের প্রয়োজনীয় নম্বরগুলো প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, যাতে যেকোনো সময় যোগাযোগ করা যায়। সমসাময়িক পরিস্থিতি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনে ডিএমপি সদর দপ্তরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ডিএমপি সদর দপ্তরে ট্রাফিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের আসন্ন দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের ও টহল পুলিশের প্রয়োজনীয় নম্বরগুলো প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, যাতে যেকোনো সময় যোগাযোগ করা যায়। এছাড়া ইন্সপেকশন চেক লিস্টে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনের সময় স্বাক্ষর করবেন। স্বেচ্ছাসেবীদের কাজ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন বা তদন্ত) উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। দেশের সব নাগরিক মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এজন্য যেকোনো ধরনের প্রতিকূলতা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
কোনো পূজামণ্ডপে কোনো সমস্যা আছে কি না সে বিষয়ে নিজেই খোঁজ নেবেন বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। কোনো অপতৎপরতার তথ্য পেলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি। সভার শুরুতে শারদীয় দুর্গোৎসবে ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা উপস্থাপন করেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার।
সভায় প্রতিটি মন্দিরে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নির্ধারিত পোশাকে বা দৃশ্যমান আইডি কার্ডে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখা, আজান ও নামাজের সময় বাদ্য বাজানো বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়।
সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, এসবি, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব ১৪ অক্টোবর (শনিবার) মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে। ২০ অক্টোবর ৬ষ্ঠী ও ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।