চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, পদ্মায় রেলপথ চালুর মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক পরিবর্তন হবে। বাংলাদেশ ও চায়নার সম্পর্ক বাণিজ্যিকভাবে সব সময় ভালো থাকবে। বাংলাদেশের বড় মেগা প্রকল্পে চায়নার অর্থায়ন রয়েছে। চায়ানারা বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি।
চীন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমার জন্য এটা অনেক খুশির। আমি এই উদ্বোধনে অংশ নিয়েছি। চীন সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানায়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও চীনের কর্মকর্তা যারা কাজ করেছেন তাদের শুভেচ্ছা জানাই। পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান বিনিয়োগকারী চীন। প্রায় ৮৫ শতাংশ অর্থ প্রদান করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এজন্য বাংলাদেশের রেলপথে বিনিয়োগ করায় এ সময় রেল সচিব হুমায়ুন কবির চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করছে রেলওয়ে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে। যদিও যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্প উদ্বোধন হবে ২০২৪ সালের জুনে। এ লক্ষ্য ঠিক করে এগুচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত পদ্মা সেতু রেল লিংক রুটটি। এ রুট দিয়ে বাংলাদেশের রেলপথ ভারতের সাথে যুক্ত হচ্ছে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে।