প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বাংলার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, আমাকে বার বার রক্ষা করার জন্য। বাবার মতো নিজেকে এদেশের জন্য উৎসর্গ করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গড়তে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপির কাজই সবকিছু ধ্বংস করা।’
শনিবার মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে বিকেলে রাজধানীর আরামবাগের জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,’অগ্নিসন্ত্রাসই বিএনপির চরিত্র। তারা মানুষকে ভাত দিতে পারেনি। অথচ এখন মানুষ পুড়িয়ে মারছে।’
আবারও নৌকায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের সেবায় কাজ করে। আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী বিএনপি সব নষ্ট করে। জিয়াউর রহমান থেকে খালেদা জিয়ার এ পর্যন্ত-২১ বছরের শাসনামলে দেশবাসী কিছুই পায়নি বলেও উল্লেখ করেন সরকার প্রধান। ধ্বংসই যাদের চরিত্র, তারা যেন আর মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সে আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, পোশাক কারখানায় নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের ছাড়া হবে না বলেও জানান তিনি। এসময় আবারও নৌকায় ভোট চান প্রধানমন্ত্রী।’
বিদেশে বসে যারা অশান্তি তৈরি করছে, তাদের দেশে এনে সাজা দেয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ওপর হামলা করাই বিএনপির কাজ। কারণ দলটির সৃষ্টিকারী জিয়াউর রহমান খুনি মোশতাকের দোসর।’
এসময় সরকার প্রধান বলেন, ‘গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ২০০১ এ ক্ষমতায় এসেছিল খালেদা জিয়া। খুনি রশীদ ও হুদাকে সংসদে বসিয়েছিল খালেদা। স্বাধীনতা বিরোধীদের মদদ দেয় বিএনপি। সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল বিএনপি। এরশাদও ভোট চুরি করেছে। খালেদা বলেছিল শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেত্রীও হতে পারবে না। অহংকার করি না আমি। আমার কাছে ক্ষমতা হচ্ছে জনগণের সেবা করার সুযোগ।’
দেশের মানুষ বাঁচাবার জন্য সবধরনের ব্যবস্থা এই সরকার করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর বিএনপির কাজ মানুষ হত্যা, ভোট চুরি, নির্যাতন করা। ২৮ অক্টোবর কি ঘটনা তারা ঘটালো? কোন মানুষ কি পারে এভাবে মানুষকে মারতে। ঘুমন্ত হেলপারকে পুরিয়ে মারল। সেদিন পুলিশ যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। তাদের ধন্যবাদ। আওয়ামী লীগের মহিলা নেত্রীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করেছে। ২০১৫ সালে ২৯ জন পুলিশ হত্যা করেছিল বিএনপি জামাত।’
এসময় তিনি আরও জানান, ‘মেট্রোরেল চড়ে এই সভায় যোগ দিয়েছি। ঢাকাবাসীর জন্য মেট্রো উপহার দিয়ে গেলাম। জয় বাংলা শ্লোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ১৫ আগস্টের পরে যারা সরকারে ছিল তারা দেশের মানুষের জন্য কিছুই করেননি। উত্তরাবাসী ৩৮/৪০ মিনিটের মধ্যে মতিঝিল পৌঁছে যাবেন। নারীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন এই মেট্রোতে। আজ মেট্রো পুরোদমে চালু হলো।’
‘এখন পাতালরেলের কাজও চলছে। শুভ উদ্বোধন করেছি। এটিও ঢাকাবাসীর জন্য উপহার। এর আগেও পাতালরেলের আরেকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ। সঠিক ব্যবস্থাপনা করবেন মেট্রোরেলের।’
‘আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর ঢাকাবাসীর পানি ও বিদ্যুৎ এর সমস্যা দূর হয়েছে। অপচয়ে রোধে সচেতন থাকার আহ্বান। ঢাকা শহরের পয়নিষ্কাশন ও ড্রেনেজের উন্নয়ন চলছে। নিজ নিজ বাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে। আশ পাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন থাকতে হবে। ঢাকার আশে পাশের ইউনিয়ন সিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেসব জায়গার উন্নয়ন হচ্ছে।’
‘দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। সজাগ থাকবেন। মানুষকে যেন মারতে না পারে। আরও অনেক উন্নয়নের কাজ বাকি। অগ্নীসন্ত্রাসীরা ক্ষমতায় আসলে দেশবাসীকে শান্তি দেবে না বলে মন্তব্য করেন সরকার প্রধান।’