আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার স্বাক্ষরে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা জানাতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পাশাপাশি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে চাইলে দলগুলোকে শনিবারের (১৮ নভেম্বর) মধ্যে ইসিকে জানানোর জন্য পরিপত্র জারি করা হয়। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত ইসির ডাকে আওয়ামী লীগসহ সাড়া দিয়েছে মাত্র ১০টি দল। বিএনপিসহ বাকি ৩৪ দল কোনো কিছু জানায়নি।
জানা যায়, গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) তফসিল ঘোষণার পরদিন ৪৪টি নিবন্ধিত দলকেই জোটগতভাবে ভোট করলে আবেদনের মাধ্যমে জানাতে চিঠি দেয় ইসি। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সেই সময় শেষে মোট দশটি দল সাড়া দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (ইনু), গণতন্ত্রী পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) ও জাতীয় পার্টি (রওশন এরশাদ) জোটে থেকে নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা নিজ দলের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নৌকা প্রতীক ব্যবহার করতে চেয়েছে।
এছাড়া বিএনপির সাবেক নেতাদের নিয়ে উজ্জীবিত দল তৃণমূল বিএনপিও জোট করবে বলে জানিয়েছে ইসি। প্রগতিশীল ইসলামী জোটকে নিজেদের প্রতীক সোনালী আশ দিতে চায় দলটি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, আজ জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। আওয়ামী লীগ বলেছে, তারা জোটবদ্ধভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচন করবে। সভাপতির স্বাক্ষরে তারা নমিনেশন দেবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কোন কোন দলের সঙ্গে জোট করবে এ কথা তাদের চিঠিতে বলা নেই। দুটি দল পৃথকভাবে বলেছে তারা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে। সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নৌকা প্রতীক নিয়ে করবে বলেছে। গণতন্ত্রী পার্টিও নৌকা প্রতীকে ভোট করবে বলে চিঠি দিয়েছে।
জাপার দুটি চিঠি এসেছে। জিএম কাদের বলেছেন, তার সইয়ে মনোনয়ন হবে। আবার রওশন এরশাদ বলেছেন, তারা জোটে ভোট করবেন। কোনটি আমলে নেবেন জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এটা কমিশন দেখবে। দুটি চিঠি এসেছে। কমিশন যেটা আমলে নেয়।
সাইনিং অথরিটি কে হওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণত দলের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিব সাইনিং অথরিটি হন।