প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে বিএনপি। খালেদা জিয়াকে ভোট চুরির অপরাধে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। আর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরই এদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সংগ্রাম করছে। আর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ক্ষমতা দখলকারীরা উর্দি খুলে হঠাৎ রাজনীতিবিদ হয়ে যায়।
বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেই সংবিধান স্থগিত করে মার্শাল ‘ল’ জারি করে। হ্যাঁ বা না ভোটের আয়োজন করে। সে সময় ভোটের বাক্স খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তারা গণতন্ত্রের নামে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ পদত্যাগ করতে হয়েছে। আজ আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে দেশ কথা বললেও যখন মিলিটারি ডিটেক্টররা মানুষের অধিকার ক্ষুন্ণ করেছিল তখন তাদের চেতনা কোথায় ছিল?
একসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে থাকা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করতে আওয়ামী লীগ সরকার আইন করে দিয়েছে। এতে ৮২টি সংশোধনী এনে অবাধ নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযোগী করা হয়। সেই আইনের অধীনে এখন দেশে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের তেজগাঁও কার্যালয়ে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এ সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করছেন মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।