দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের গ্রেপ্তার করতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিসন (ইসি)।
রোববার (০৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন, নির্বাচন পরিচালনার বিধিমালা অনুসরণ, বিভিন্ন টিম গঠন ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা বিষয়ে জারি করা পরিপত্র-৯ এর মাধ্যমে এই নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
পরিপত্রে বলা হয়, ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সব বেআইনী অস্ত্র উদ্ধার পরিচালনা জোরদার করতে হবে। তালিকা প্রণয়নপূর্বক চাঁদাবাজ, মাস্তান ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন করতে হবে। এছাড়া চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে পরিপত্রে বলা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, সব শ্রেণির ভোটার যাতে তাদের ভোটাধিকার অবাধ ও নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারেন তার নিশ্চয়তা দেওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও স্থানীয় আস্থাভাজন কর্মীদেরও সঙ্গে নিয়ে একটি এবং প্রয়োজনে একাধিক বৈঠক আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আইন ও বিধিগত দিক উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করতে হবে। কারো কোনো অভিযোগ থাকলে তা অবিলম্বে তদন্ত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা যাতে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা মেনে চলা, কোনো উসকানিমূলক ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যকলাপ বা বক্তব্য না দেওয়াসহ পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার কথাও উল্লেখ করা হয় পরিপত্রে।