স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘২০০৪ সালে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন, সেখানে দেখা গেছে ৪৭০ জনের মতো গুম হয়েছিলেন এক বছরে। এই গুম-খুন তখন প্রতিনিয়ত হতো। দেশে এই গুম-খুন এখন সচরাচর দেখছি না। এগুলো ব্যাপকহারে দেখেছিলাম ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত (বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে)।’
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের উত্থান দেখেছি। ২১ আগস্ট আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা, সেই দৃশ্যটা আপনারাও দেখেছেন। তখন জায়গায় জায়গায় বোমা হামলা হতো। ৬৩টি জেলায় একসঙ্গে বোমা হামলা হতো। এসব কিন্তু সে আমলেই হয়েছিল। এগুলো ইতিহাস হয়ে রয়ে গেছে। এগুলো করে তারা স্বপ্ন দেখছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর।’
বিএনপিকে কোনো সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে বিএনপি-জামায়াত বা অন্য যেকোনো দল যে প্রোগ্রাম করতে চেয়েছে, আমরা কোনোটাতেই বাধা দিইনি। তারা মানববন্ধন, লং মার্চ এমনকি অবরোধ করেছে। আমরা কোনোটাতেই বাধা দিইনি। সম্প্রতি ২৮ অক্টোবর যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানেও আমরা বাধা দিইনি। তারা সেদিন সারাদেশ থেকে নেতাকর্মী নিয়ে এসেছিল। তারা আমাদের পরিষ্কার জানিয়েছিল নাইটেংগেল মোড় থেকে ফকিরাপুল চৌরাস্তা অবধি জায়গার মধ্যে অবস্থান করবে। কিন্তু আমরা দেখলাম, তারা সেই প্রতিশ্রুতি না মেনে নাইটেংগেল মোড় থেকে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের সামনে ও বিচারপতির বাসভবনের সামনে প্রায় দুই হাজার সদস্য জড়ো হয়েছিল।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘কাদের ভাইয়ের আহ্বানে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যাচ্ছিলেন আমার এলাকার কয়েকজন মহিলা। তাদের নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে। এরপর দেখলাম তারা আরও মারমুখী। তারা জাজেস কমপ্লেক্সে ঢুকেও ভাঙচুর করলেন। পরে আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছে।’