Search
Close this search box.

উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল নিত্যপণ্যের বাজার

শীতের শুরু থেকেই এবার সবজির বাজার চড়া যাচ্ছে। তাই ভরা মৌসুমে এসেও দাম হাতের নাগালে আসছে না। এদিকে চালের মূল্য আরেক দফা বৃদ্ধির পর নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সরকার বাজার তদারক করলেও তার খুব একটা প্রভাব নেই।

আটা-ময়দা, ডাল, ভোজ্যতেল ও চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া মাছ, মাংস ও ডিমের দামও চড়া। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

সবজির বাজার

বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমে এসেছে। তবে সাধারণ ক্রেতাদের মতে এখনও নাগালের মধ্যে আসেনি। রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, শিম ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, মুলা ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০-৮০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, বাধাকপি মাঝারি আকারের ৪০-৫০ টাকা, লাউ ৬০-৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ছোট আাকারের ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সরিষা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫-২০ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০-৫০, লাল শাক ১৫ টাকা, বথুয়া শাক ১৫-২০ টাকা দরে আঁটি বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ কমে যায় গরুর মাংসের দাম। তখন ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু হয়। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।

তবে, বাজারে সরকারের এ নির্দেশনা মানার কোনো বালাই নেই। বর্তমানে দাম বাড়িয়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায়।

সেইসঙ্গে, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায়। সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি কক ও লেয়ার ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার

গত কিছু দিন ধরেই বাড়তি যাচ্ছে সব ধরনের মাছের দাম। আজকের বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫৫০ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতলা প্রতি কেজি ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, ছোট টেংরা মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও শোল মাছ প্রতি কেজি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার

সরকারের নানামুখী উদ্যোগের মধ্যেও অস্থিরতা কাটেনি চালের বাজারে। দুই দিনের অভিযানের পর খাদ্য কর্মকর্তারা দাম কিছুটা কমার দাবি করলেও বাজারে নেই তার প্রতিফলন। বাজারে প্রতি কেজি ৫৫ টাকার নিচে মিলছে না মোটা চাল।

মিনিকেট চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে। ৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে নাজিরশাইল চালের কেজি। আটাশ জাতের চালের জন্যও গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। বিক্রেতাদের দাবি, মিল মালিকরাই অতি মুনাফার জন্য দাম বাড়াচ্ছে।

এক চাল ব্যবসায়ী দাবি করেন, কোম্পানিগুলো চালের বাজারে আসার পর থেকেই বাজারটা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। ওনাদের হাতেই বাজার। ওনারাই বাজারের দাম ওঠায়, আবার নামায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ