রমজান মাসে স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন তা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর পরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কোন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রমজান মাসে কতদিন খোলা থাকবে তা জানিয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের কর্তৃক পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৪.০০২.০২ (অংশ) ৬৪০ নম্বর স্মারকে জারি করা সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের (১৪৩০-১৪৩১ বঙ্গাব্দ) শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, আপিল বিভাগের রায়ের পর পবিত্র রমজানে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখতে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কোনো বাধা নেই।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রমজানের প্রথম ১০ দিন খোলা থাকবে অর্থাৎ ২১ মার্চ পর্যন্ত খোলা থাকবে।
অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানিয়েছে, সারা দেশের কলেজগুলো রমজানে ২৪ মার্চ পর্যন্ত খোলা রাখা হবে।
এছাড়া রমজান উপলক্ষে মাদরাসার ছুটির তালিকাও সংশোধন করা হয়েছে। এতে ১৫ দিন ছুটি কমানো হয়েছে। নতুন এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ মার্চ পর্যন্ত মাদরাসায় ক্লাস-পরীক্ষা চলবে।
প্রসঙ্গত, এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত রোববার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দিয়ে পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম ১৫ দিন চালু রাখার সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা গতকাল সোমবার (১১ মার্চ) চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। চেম্বার আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে অনুসারে আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে রমজান মাসে ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার কথা বলা হয়।
অন্যদিকে, রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।