স্টাফ রিপোর্টার: সাম্প্রতিক উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সব ধরণের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন (যমুনা) এর আশেপাশের এলাকায় সব ধরণের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হলো।
এদিকে সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রোববার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সেনাবাহিনী।
জানা গেছে, আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের প্রায় সবারই মাথায় আঘাত রয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, রাত পৌনে ৯টা থেকে আহতরা হাসপাতালে আসা শুরু করে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এর আগে রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম নিজেদের ফেসবুক পোস্টে তাদের আটকে রাখার বিষয়ে জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত ৯টার দিকে তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে।
দুই সমন্বয়কের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের আন্দোলনের কারণে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। তাদের অনেকেই এখন ক্ষুধায় কাতর। বের হওয়ার জন্য এক গেট থেকে অন্য গেটে ছুটলেও বের হতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রোববার সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে দুপুরে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারী আনসারদের একাংশ। তারা সচিবালয়ে তিন নম্বর গেট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে ভেতরে ঢুকে পড়েন।
পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তাদের প্রতিনিধিদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে এর কিছুক্ষণ পরই আবারও আন্দোলন শুরু করেন আনসার সদস্যরা। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।