স্টাফ রিপোর্টার: দেশের সংবিধান পরিবর্তনের দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আজমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। আজ মঙ্গলবার ভার্চুয়াল ভিডিও সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
আব্দুল্লাহিল আমান আযমী দীর্ঘ আট বছর পর দেশের একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার কথিত বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ থেকে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন। সেই দিনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আয়নাঘরে শুধু চা-রুটি খেয়েই আমার ৬ থেকে ৭ দিন কেটে গেছে।’ দেশের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে আযমী বলেন, ‘ছাত্রজনতা আন্দোলনে শহীদ, আহত ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের বীরশ্রেষ্ঠ, বীর বিক্রমসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের মতোই খেতাব দেওয়া হোক।’
এ সময় নির্বাচন করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো প্রকার চাপ না দেওয়ার আহ্বান জানান গোলাম আজমের ছেলে। বলেন, ‘দেশের সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। এই সংবিধান জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে করা হয়নি।’ সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সঙ্গীতের পরিবর্তন দাবি করেন আযমী। বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ এই অঞ্চলের ভালো চাননি কখনো। তাই তাঁর লেখা জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে হবে।’
বিডিআর বিদ্রোহ প্রসঙ্গেও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আযমী। তিনি বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের সময় ৫৭ সেনা কর্মকর্তার খুনের বদলা হিসেবে খুন চাই। মাস্টারমাইন্ড খুনিদের সবার ফাঁসি দিতে হবে।’দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় সঙ্গীত নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আজমের ছেলে। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ এর যুদ্ধে ৩০ লাখ নয়, শহীদ হয়েছিলেন ২লাখ ৮৬ হাজার। মুজিব তিন লাখ বলতে গিয়ে ৩০ লাখ বলেছেন।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে আযমী বলেন, ‘ভারত কখনোই বন্ধুর মত আচরণ করেনি। সীমান্ত হত্যা পানি বণ্টনসহ বাংলাদেশকে তারা শত্রুই ভাবে অথচ ভান ধরে বন্ধুর। এদের সাথেও শত্রুর মতো আচরণ করা উচিত। বাংলাদেশের প্রতি ভারতের অনিয়ম অত্যাচার নিয়ে সোচ্চার থাকার কারণেই আমাকে আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল।’