স্টাফ রিপোর্টার: ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে আগামী দুই দিনে চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও ফেনীসহ দেশের ৮ জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বর্তমানে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী ও গোমতী নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। অন্যদিকে হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী দুই দিন দেশে এবং উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তবে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য বলছে, দক্ষিণপূর্ব বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আগামী ২ দিন উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। যা আগামী ৫ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
অন্যদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩ দিন পর্যন্ত এসব নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী ২ দিন পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে ও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পাশাপাশি রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী ৩ দিন পর্যন্ত এসব নদীর পানি সমতল ধীরগতিতে হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
এছাড়া সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ- মনু, খোয়াই, সারিগোয়াইন, ধলাই ইত্যাদির পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী ৩ দিন পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।