স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়েছেন দলটির অনেক নেতা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সম্প্রতি তাকে ভারতের কলকাতার ইকোপার্কে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) এ বিষয়ে কথা বলেছে র্যাব ও পুলিশ।
কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক (মুখপাত্র) লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতে অবস্থানের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আপনারা টিভিতে দেখে যা জানেন, আমিও সেভাবেই জানি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্বে) মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমে খবর দেখেছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন কলকাতার একটি পার্কে দেখা গেছে। তারা কীভাবে গেছেন সে তথ্য ইমিগ্রেশন পুলিশে নেই।’
তিনি বলেন, ‘এতোটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যাদের দেখা গেছে তারা কেউ ইমিগ্রেশন ক্রস করেননি। ইমিগ্রেশনে তাদের দেশত্যাগের কোনো তথ্য নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইমিগ্রেশনে যেহেতু তথ্য নেই, অবশ্যই অবৈধ পথে গেছেন। হেঁটে যেতে পারেন, গাড়িতেও যেতে পারেন, স্থলপথেও অবৈধভাবে সীমান্ত পার হতে পারেন।’
প্রসঙ্গত, ভারতের কলকাতার ইকোপার্কে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ বেশ কিছু নেতাকে আড্ডা দিতে দেখা যায়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাবেক এমপি অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল ও হাজি সেলিমের এক ছেলেসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তারা।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা পালিয়ে বিদেশ যেতে পারলেও অধিকাংশই গা ঢাকা দিয়েছেন। অনেক নেতা গ্রেপ্তারও হয়েছেন। পালিয়ে যাওয়া নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে।