মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় আইন অমান্য করে রাস্তার উল্টো দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল আটকে কাগজপত্র দেখতে চায় এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। এ সময় ওই সার্জেন্টকে জনতা মারধর মুরু কর। তাকে উদ্ধারে আসা আরও দুই পুলিশ সদস্যকেও মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন কে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত অন্য দুই পুলিশ সদস্য ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক উৎপল চন্দ্র। তাদেরকেও হাসপাতালে ভর্তিকরা হযেছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওয়ারী বিভাগের উপ-কমশিনার (ডিসি) শাহ ইফতখোয়রুল আলম জানান, মঙ্গলবার সকাল পৌনে দশটার দিকে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় উল্টো পথে আসছিল একটি মোটরসাইকেল । মোটরসাইকেলে এক নারীসহ দুজন আরোহী ছিলেন ।ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন কাগজপত্র দেখতে চাইলে মোটরসাইকেল চালক দূর্ব্যাবহার শুরু করনে এবং পোশাক পরা অবস্থায় অন ডিটিতে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টের পরচিয়পত্র দেখতে চান। পরে দুজনকে পুলিশ বক্সে নেওয়া হলে সঙ্গে থাকা নারী উত্তেজিত হয়ে চিৎকার শুরু করেন।
চিৎকার শুনে আশপাশে থাকা লোকজন নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ তুলে সার্জেন্টকে মারধর করে এবং পুলিশ বক্স গুঢ়িয়ে দেয় । অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক সার্জেন্টের বুকের উপর পা তুলে চেপে বসে । এ সময় ঘটনাস্থলে আসা উৎসুক জনতার মধ্য থেকে একজন সার্জেন্টের হাতে ছুরিকাঘাত করে ।
সার্জেন্টকে উদ্ধারে আসা পুলিশ সদস্যদের মারধর ও ধাওয়া করা হয়। পরে শ্যামপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে আহত তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করের্।
জানা যায় মোটরসাইকেল চালক এবং ওই নারী যাত্রীসহ তিন জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে । আটক ব্যক্তিরা হলেন , মোটরসাইকেল চালক র্বাতা বিচিত্রা নামক পত্রিকার সাংবাদিক মো: রনি, তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশাত ও শ্যালক ইয়াসির আরাফাত।