স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন ৮-১০ গোল খায় না।’ দেশের ফুটবলের পুনর্জাগরণ ও শক্তিশালী জাতীয় দল গঠনের লক্ষ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি (২০২২-২০২৩ থেকে ২০২৬-২০২৭ পর্যন্ত) একটি উন্নয়নমূলক প্রকল্প চলমান রয়েছে। সে প্রকল্পের একটি কর্মশালায় এসে আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে গণমাধ্যমকে কাজী সালাউদ্দিন এমন কথা বলেন।
সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘ফুটবলে সবাই শুধু অতীত অতীত করে, আমি তো জানি তখন আমরা কেমন ম্যাচ খেলেছি, কী রেজাল্ট হয়েছে। তখন এত মিডিয়া ছিল না। তখন ক্রীড়াঙ্গনে ছিল যেটা, ঢাকা স্টেডিয়ামে দর্শক আসার অভ্যাস ছিল, আজ সেই অভ্যাস নেই। তখন কোনো টপ টিমের সঙ্গে খেলিনি। আপনি সেই সময়ে ফেরত যান, আমি দেখিয়ে দেব ৮০-৯০-এর দশকে কতগুলো ম্যাচে আমরা ৮-১০ গোল খেয়েছি, যেটা এখন আর হয় না।’
২০০৩ সালের সাফ জেতার পর বাংলাদেশ জাতীয় দল আর কোনো ট্রফি জেতেনি। করোনাকালীন পরবর্তী সময়েও দেখা দেয়নি সফলতা। গত বছর বিশ্বকাপ বাছাই, সাফ, শ্রীলঙ্কায় চার জাতি টুর্নামেন্টের পর চলতি মাসে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে হতাশা উপহার দিয়েছেন ফুটবলাররা। একসময় দেশের ফুটবলের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। ঢাকার মাঠে ফুটবল মানেই ছিল সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড়। গত পরশু যে মালয়েশিয়ার কাছে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ, সেই মালয়েশিয়াকেও নব্বইয়ের দশকে হারানোর স্বাদ দিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ৭০-৮০-এর দশকে তারকা ফুটবলার ছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। খেলেছেন দেশের বাইরের লিগেও। তাই সে সময়ে দেশের ফুটবল সম্পর্কে তার সবই জানা রয়েছে। আর এখন তিনি দেশের ফুটবলের অভিভাবক। যে কারণে বাফুফে সভাপতি মনে করেন, আশি-নব্বইয়ের দশকের চেয়ে এখনকার ফুটবলাররা অনেক ভালো। বাংলাদেশ দল অন্তত এখন আর ৮-১০ গোল খায় না।
বাফুফে সভাপতি আরো বলেছেন, ‘আগে মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে ৪০-৫০ হাজার দর্শক আসত। আজকে দর্শক আসে না বলে ফুটবলের ঐ নেশাটা নাই। আজকে দর্শকরা টেলিভিশনে বসে টক শোতে থাকে। যারা টক শোতে থাকে তারা কিন্তু খেলা দেখে নাই। যারা খেলা দেখেছে ঐটার সঙ্গে তুলনা করলে বলবে, হ্যাঁ আজকের খেলোয়াড়রা অনেক ভালো।’