Search
Close this search box.

তিস্তার পানি বৃদ্ধি: বন্যার শঙ্কা 

তিস্তার পানি বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার  \ দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তা, বুড়ি তিস্তা, ইছামতি, যমুনেশ্বরী, ধুম, কুমলাই, চাড়ালকাটাসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। পানি বাড়তে থাকায় আতঙ্কে রয়েছে নদীপাড়ের মানুষ।

এদিকে ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপ মোকাবিলায় ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতিতে পানির প্রবাহ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার সংযোগস্থলে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সকাল ৯টা থেকে নদীর পানি বিপৎসীমায় প্রবাহিত হচ্ছে। সর্বশেষ দুপুর ১২টায় পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। এর আগে সকাল ৬টায় ওই পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দশমিক ৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি সকাল ৯টা থেকে বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপ সামলাতে ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতিতে পানির প্রবাহ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তার উজানে ভারত থেকেও পানি নেমে আসা অব্যাহত আছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই,খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, কৈইমারী, শৌলমারী ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। কোথাও কোথাও হাঁটু পানিতে ডুবে আছে ঘরবাড়িসহ উঠতি ফসল। এতে চরাঞ্চলে চাষ করা বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম জানান, রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে নিচু এলাকায় পানি ঢুকছে। ইতোমধ্যে মজিদপাড়া, টাবুরচর, পূর্বখড়িবাড়ি, বাঘের চর, জিঞ্জিরপাড়াসহ ছয়টি এলাকায় পানি প্রবেশ করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষ।

খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিখন জানান, কিসামত, ছাতনাই ও দোহলপাড়া গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এসব পরিবারের অধিকাংশ বাড়ি হাঁটু পানিতে তলিয়ে রয়েছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে চরের জমিতে কৃষকের তেমন কোনো ফসল নেই। তাই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও নেই। তবে কিছু কিছু এলাকায় সবজি খেত ও আমন ধানের বীজতলার ক্ষতি হতে পারে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ