Search
Close this search box.
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

ফের কারাগারে সুনামগঞ্জের ঝুমন দাশ

স্টাফ রিপোর্টার- ফেসবুকে ‘বিতর্কিত” পোস্ট দেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ঝুমন দাশ (২৬) । বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলামের আদালতে ঝুমন দাশ এই জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. বোরহান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঝুমন দাশের বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে। মঙ্গলবার দুপুরে শাল্লা থানা পুলিশ ঝুমনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে রাতে তাঁর বিরুদ্ধে শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমনুর রহমান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতেই ঝুমন দাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে

ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে এর আগে একই থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত বছরের ২২ মার্চ আরেকটি মামলা করেছিল পুলিশ। ওই মামলায় তিনি প্রায় ছয় মাস জেলে ছিলেন। মামলাটি এখন সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে আছে।

সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২৮ আগস্ট বেলা তিনটায় ঝুমন দাশ নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি উসকানিমূলক পোস্ট দেন। ওই পোস্ট অনেকের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয় এবং ওই এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

ঝুমনকে বেলা একটার দিতে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এরপর দুইটায় তাঁকে আদালতের বিচারকের সামনে হাজির করে পুলিশ। পরে বেলা আড়াইটার দিকে তাঁকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হয়। আদালত প্রাঙ্গণে এ সময় ঝুমনের মা নিভারানী দাশ, স্ত্রী সুইটি রানী দাশ ও ছেলে ঈশান দাশ উপস্থিত ছিলেন।

ঝুমন দাশকে আটকের পর সন্ধ্যায় শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেছিলেন, ঝুমন দাশ কয়েক দিন আগে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ‘বিতর্কিত’ একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ঝুমনের মা নিভা রানী দাশ বলেন, ‘আমার ছেলে নির্দোষ। সে এখন ভালো হয়ে এলাকায় চলাফেরা করছে। কেউ ষড়যন্ত্র করে তাঁর বিরুদ্ধে এসব করাচ্ছে।’

গত বছর হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে শাল্লা থানায় ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় হয়। ১৬ মার্চ ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টের জেরে ১৭ মার্চ সকালে নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়। ঝুমন দাশকে ১৬ মার্চ রাতেই আটক করে পুলিশ। এরপর ২২ মার্চ শাল্লা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় ২৩ মার্চ ঝুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৬ মাস ১২ দিন কারাবাসের পর গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান ঝুমন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ