স্টাফ রিপোর্টার- বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত সরকার সবসময় পাশে ছিল, আগামীতেও পাশে থাকবে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাই যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা সবসময়ই অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, বর্তমানে আমরা একাধিক প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি যেন উভয় দেশের মধ্যকার সীমান্ত যোগাযোগ আরও উন্নত হয়। এর মধ্য দিয়ে আমরা যেন জনগণ ও অর্থনীতিকে একীভূত করতে পারি। তাহলে দুই দেশের উন্নয়নের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও মজবুত হবে।
এ সময় রাজশাহী অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘রাজশাহীর উন্নয়নেও কাজ করবে ভারত সরকার। সবুজ ও সুন্দর এই জনপদের মানুষ অনেক বেশি সংস্কৃতিমনা। তাই রাজশাহীর সংস্কৃতির উন্নয়নেও আমরা কাজ করছি। শিগগিরই আরও ভালো কিছু হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতাযুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। আর শুধু ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিকভাবেই নয় হৃদয়ের সম্পর্কের দ্বারাও আমরা এবং আমাদের দেশ সংযুক্ত।
এর আগে সকালে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সফর করেন। তিনি রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনে উপাচার্য দফতরে এই সাক্ষাতকালে উপাচার্য হাইকমিশনারকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জোহা চত্বর, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা ও শহীদ মিনার, সাবাশ বাংলাদেশ, বদ্ধভূমি, কেন্দ্রীয় মন্দিরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের সময় রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার, রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপাচার্য ভারতীয় হাইকমিশনারকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভেচ্ছা স্মারক ও পরিচিতি প্রকাশনা উপহার দেন।