স্টাফ রিপোর্টার- জনগণ বিএনপিকে ১০ তারিখে লালকার্ড দেখিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তারা পেয়েছে অশ্বডিম্ব। ৩০ ডিসেম্বরেও ঘোড়ার ডিম পাবে। যদি তারা সফল হয়, সেদিন ঘোড়া ডিম পারবে।
তবে ২৪ ডিসেম্বরের গণমিছিল আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কারণে পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নেওয়ায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান তিনি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ পাকিস্তান আমাদের চেয়ে শক্তিশালী এর পেছনে আর্থ-সামাজিক কোনও বিষয়ই নেই।শক্তিশালী কারণ তাদের শ’খানেক পরমাণু বোমা আছে। আমাদের কাছে বিধ্বংসী বোমা নেই। এছাড়া অন্য কোনও অংশে পাকিস্তান আমাদের বিট করতে পারেনি। আত্মশক্তি হলো মূল কথা। সেই আত্মশক্তিতে আমরা আজ বলিয়ান একটা জাতি। সারা পৃথিবীতে মহামন্দার তপ্ত বাতাস। এই তপ্ত বাতাসের আঁচ আমাদের এখানেও লেগেছে। তবে সংকটের মধ্যে শেখ হাসিনাই একমাত্র নেতা, যিনি সংকটকে সম্ভাবনার রূপ দিতে পারেন।
রবিবার সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত আগস্ট মাসে পাকিস্তানের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত লেখার উদ্ধৃতি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের পত্রিকা এক্সপেস ট্রিবিউন। এতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং পাকিস্তানের এক প্রদেশের সাবেক মুখ্য সচিব সাহেব একটি নিবন্ধন লিখেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানের তুলনায় ১৯৭০ সালে দেশটি (বাংলাদেশ) ৭৫ শতাংশ দরিদ্র ছিল। কিন্তু এখন পাকিস্তানের চেয়ে ৪৫ শতাংশ ধনী। স্বাধীনতা চেয়ে, স্বাধীনতা এনে বঙ্গবন্ধু ভুল করেননি। পাকিস্তানের ১৫৪৩ ডলারের তুলনায় বাংলাদেশে এখন মাথা পিছু আয় দুই হাজার ২২৮ ডলারের ওপরে। এটা পাকিস্তানের ওই পত্রিকার সংখ্যা।
কাদের বলেন, এখন বাংলাদেশের জিডিপি ৪৪৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন। পাকিস্তানের ৩০৭ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। পার ক্যাপিট্যাল ইনকাম বাংলাদেশের দুই হাজার ৮২৪, পাকিস্তানে ১৬৫৮। জিডিপি গ্রৌথ ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাংলাদেশে, পাকিস্তানে ২ শতাংশ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষের গড় আয়ু হিসেবে আমাদের ৭৩, পাকিস্তানের ৬৭ বছর। রিজার্ভ আমাদের ৪৮ থেকে বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে ৩৪ বিলিয়ন। পাকিস্তানের ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন এই মুহূর্তে। স্বাক্ষরতায় আমাদের ৭৪ দশমিক ৬। আর পাকিস্তানে ৫৮ শতাংশ। আমি তুলনামূলক চিত্রটা তুলে ধরলাম এই কারণে যে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে, এই বিজয় ছিনিয়ে এনে, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা কিছুমাত্র ভুল করেননি।
তিনি বলেন, সব শিক্ষাই আছে। আমরা শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখবো। এই পরিবার থেকে শিক্ষার আছে। আজ সততা, সাহসের জন্য কোথায় যেতে হবে না। কোনও মনীষীর নিবন্ধন পড়তে হবে না। আমাদের জাতির পিতা থেকে আমরা শিক্ষা নেবো। এই জনপদে বঙ্গবন্ধু নেই, এই জনপদে শেখ হাসিনাও একদিন থাকবেন না। কিন্তু তাদের উত্তরাধিকার বেঁচে থাকবে। স্বাধীনতার উত্তরাধিকার বেঁচে থাকবে, বেঁচে থাকবে মুক্তির উত্তরাধিকার।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।