স্টাফ রিপোর্টার- বিএনপির জোট কিছু দিন পরপর সাপের মতো চামড়া বাদলায়। তাদের কখনও ২০ দল, কখনও ২৪ দল; আবার কখনও ১২ দল হয়। এখন তারা বলছে ৩৩ দল। এরমধ্যে ৩০ দল খুঁজে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় তিনি বলেন, রাজধানীতে বিএনপির গণমিছিল নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত। সরকারি দল হিসেবে মানুষের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব। কেউ যেন শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে না পারে, সেজন্য আমরা মাঠে আছি।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এই হচ্ছে বিএনপির জোট। আসলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। দেশ আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই বিএনপি বুঝতে পেরেছে আগামী নির্বাচনে ও তাদের ভরাডুবি হবে তাই তারা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে।
১০ তারিখ তারা নাকি ঢাকা দখল করবে। পরে বলেছে ৩০ তারিখ নাকি তারা ঢাকার দখল নেবে। আজ পুরো ঢাকা শহর আওয়ামী লীগের দখলে। তারা ঘোষণা দিল, ১০ তারিখে ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করবে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হলো- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য, তারা করবে না। তারপরে বলা হলো পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার মাঠে করার জন্য তাও করবে না। একটা অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে, যেখানে মির্জা ফখরুল বলছে- আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করি। অন্য আরেকজন বলছে মানুষ কই? আমরা যখন বললাম, আপনার কোথায় মিটিং করবেন? তারা বেছে নিলো গরুর হাট। মানিকে মানিক চিনে, আর গাধা চেনে গাধ,’ বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘তারা বুঝতে পেরেছে জনগণে তাদের সাথে নেই। তাদের কাজ হচ্ছে রাত-বিরাতে বিভিন্ন দূতাবাসের দরজায় ঘুরে বেড়ানো আর তাদের পা টিপে দেওয়া। বিএনপি দেশে নাশকতা করার চেষ্টা করছে। তারা ওঁত পেতে বসে আছে। তাই নেতাকর্মীদের আহবান করব, তাদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি কোনো পাল্টা কর্মসূচি নয়। দেশে যেন অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে তাই আমরা এ অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছি। আমাদের এ অবস্থান আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।