স্টাফ রিপোর্টার- পদযাত্রার মধ্যদিয়ে বিএনপি নতুন আন্দোলন শুরু করেছে বলে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এর মাধ্যমে সরকারকে বলে দিতে চাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় ভারাক্রান্তভাবে চলে যেতে হবে। পালাবার কোনো পথ পাবেন না।
শনিবার বেলা ২টায় রাজধানীর বাড্ডায় সুবাস্তু মার্কেটের সামনের সড়কে পদযাত্রা কর্মসূচির আগে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ১০ দফার দাবিতে রাজধানীতে চার দিনের পদযাত্রার আজ প্রথম দিনের কর্মসূচিটি দুপুর আড়াইটায় শুরু হয়েছে। মালিবাগের আবুল হোটেল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকার এই নীরব পদযাত্রার মধ্যদিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই দানবীয় সরকারকে চলে যেতে বাধ্য করব।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হকের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরফত আলী সপু, সাইফুল আলম নীরব, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে আগামী ৩১ জানুয়ারি গাবতলী থেকে মাজার রোড় হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর পর্যন্ত পদযাত্রা হবে। একইভাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ৩০ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত এবং ১ ফেব্রুয়ারি মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। প্রতিটি পদযাত্রা বেলা দুটায় শুরু হবে।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম দাবি করেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না, এমন মুচলেকা দেওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এতদিন ধরে সাংবাদিকতা করছেন কখনো ঘুণাক্ষরে কারও কাছ থেকে শুনেছেন এ ধরনের কথা। উনি (শেখ সেলিম) এটা তৈরি করে ফেললেন, আর এটা হয়ে গেল? এটা একেবারে পুরোপুরিভাবে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বানোয়াট একটা কথা। এটা বেইসলেস।